নিউজ ডেস্ক:
সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, পদ্মা সেতু নির্মাণ কাজের সার্বিক অগ্রগতি ৫০ শতাংশের বেশী।
মূল সেতুর কাজ অনেক এগিয়ে গেছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ২য় স্প্যান বসতে আরো একটু সময় লাগবে, যা মধ্য জানুয়ারি পর্যন্ত গড়াতে পারে।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘পদ্মার নিচে এতো বেশি অনিশ্চিত পরিস্থিতি যে সেখানে গভীরতা মিলিয়ে টেকনিক্যাল কিছু সমস্যা আছে। তবে আমাদের টার্গেট আমরা যথা সময়েই শেষ করবো।’
ওবায়দুল কাদের বুধবার দুপুরে মুন্সীগঞ্জের সিরাজদিখান উপজেলার নবনির্মিত মোস্তফাগঞ্জ সেতুসহ ৫টি সেতুর উদ্বোধন ঘোষণার পর সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে এসব কথা বলেন।
মুন্সীগঞ্জের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জায়েদুল আলম, সিরাজদিখান উপজেলা পরিষরেদর চেয়ারম্যান মহিউদ্দিন আহম্মেদ, সড়ক ও জনপথের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. মামুনুর রশীদ, সিরাজদিখানের ইউএনও তানভীর মো. আজিম, শ্রীনগরের ইউএনও জাহিদুল ইসলাম প্রমুখ এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ২০২০ সালের মধ্যেই মুন্সিগঞ্জ সড়ক বিভাগের অধীন সকল ঝুঁকিপূর্ণ বেইলি সেতুর স্থলে আরসিসি/পিসিগার্ডার সেতুর নির্মাণ কাজ সম্পন্ন হবে।
ওবায়দুল কাদের বলেন, প্রায় ২০ কোটি টাকা ব্যয়ে ষোল মিটার দীর্ঘ মোস্তফাগঞ্জ সেতু, ঊনত্রিশ মিটার দীর্ঘ রান্ধুনী বাড়ি সেতু, প্রায় চৌদ্দ মিটার দীর্ঘ সিংপাড়া সেতু, প্রায় আঠারো মিটার দীর্ঘ কোলা সেতু এবং প্রায় তেইশ মিটার দীর্ঘ কুসুমপুর বাগানবাড়ী মসজিদ (মালীপাড়া) সেতু নির্মিত হয়েছে।
তিনি বলেন, মুন্সিগঞ্জ সড়ক বিভাগের অধীন ঝুঁকিপূর্ণ বেইলি সেতুসমূহ স্থায়ী কংক্রিট সেতু দ্বারা প্রতিস্থাপন (প্রথম পর্যায়) শীর্ষক প্রকল্পের মাধ্যমে ঊনত্রিশটি বেইলি সেতুর স্থলে আরসিসি/পিসিগার্ডার সেতুর নির্মাণকাজ চলমান রয়েছে।
মন্ত্রী বলেন, আরও পনেরোটি সেতুর নির্মাণকাজ ২০১৮ সালের জুন নাগাদ শেষ হবে এবং অবশিষ্ট নয়টি সেতুর নির্মাণকাজ ২০১৯ সালের ডিসেম্বর নাগাদ শেষ হবে।