জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে প্রতিপক্ষের সশস্ত্র হামলায় গুরুতর আহত নির্মাণ শ্রমিক তসবির চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। এ ঘটনায় বিচার চেয়ে সাংবাদিক সম্মেলন করেছেন ঘর ও জমির মালিক মনোয়ারুল ইসলাম টুটুল। গতকাল শনিবার তিনি সংবাদ সম্মেলনে গত ১১ আগস্ট প্রতিপক্ষরা কীভাবে তাদের ওপর সশস্ত্র হামলা করে রক্তাক্ত জখম করে এবং পরবর্তীতে আহত নির্মাণ শ্রমিক তসবির চিকিৎসাধীন অবস্থায় গতকাল ৪ সেপ্টেম্বর দিন গত রাতে তসবিরের নিজ বাড়িতে মারা যান তার বিবরণ তুলে ধরেন।
মনোয়ারুল ইসলাম টুটুল জানান, গত ১১ আগস্ট বেলা ১১ টার দিকে আলমডাঙ্গার টার্মিনাল পাড়ায় তার দখলে থাকা ক্রয়কৃত জমির ওপর নির্মিত দোকান ঘর সংস্কারের কাজ করছিলেন। সাড়ে ১১ টার দিকে গোবিন্দপুর বাসস্ট্যান্ড পাড়ার মৃত আবু বকরের দুই ছেলে উসমান ও মহিউদ্দিন, একই গ্রামের রেজাউলের ছেলে তিতান ও মৃত মফিজ উদ্দিনের ছেলে মুকুল আমার ওপর অতর্কিত সশস্ত্র হামলা চালায়। এসময় তাকে বাঁচাতে তার দোকানের নির্মাণ শ্রমিক তসবিরসহ তানভীর ও আমিন এগিয়ে এলে তাদেরকেও কুপিয়ে ও পিটিয়ে মাটিতে ফেলে দেয় প্রতিপক্ষরা। আমরা রক্তাক্ত জখম হয়ে মাটিতে গড়াগড়ি খেয়ে চিৎকার করে বাঁচার আকুতি জানাতে থাকি। কিন্তু প্রতিপক্ষ মুকুল, উসমান, মহিউদ্দিন ও তিতান তাদের হাতে থাকা রামদা ও লাঠিসোটা দিয়ে আমাদের কোপাতে ও বেধড়ক পেটাতে থাকে। এসময় পথচারীরা এগিয়ে এলে দূর্বৃত্তরা পালিয়ে যায়।
লিখিত অভিযোগে মনোয়ারুল ইসলাম টুটুল জানান, রক্তাক্ত আহত তাদের চারজনকে পথচারীরা উদ্ধার করে আলমডাঙ্গার ফাতেমা টাওয়ারে নিয়ে আসেন। প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদের ৪ জনকে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে রেফার্ড করেন। হাসপাতালে থেকে ফিরে এসে বাড়ি চিকিৎসা নিতে থাকি। রক্তাক্ত আহত সবার চিকিৎসা খরচ বহন করেন তিনি আরো জানান, আমরা ধীরে ধীরে সুস্থ হলেও আমার দোকান ঘরের নির্মাণ শ্রমিক তসবির ৪ সেপ্টেম্বর গভীর রাতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন।
তিনি বলেন, গত ১১ আগস্ট আমাদের ওপর অতর্কিত সশস্ত্র হামলায় রক্তাক্ত জখমের ঘটনায় আসামি মুকুল, উসমান, রেজাউল ও তিতানের নাম উল্লেখ করে আলমডাঙ্গা থানায় মামলা দায়ের করা হয়। এতবড় একটি রক্তাক্ত হামলার ঘটনায় একজন মারা গেলেও এখন পর্যন্ত আসামি কেউ গ্রেফতার হয়নি। তিনি এব্যাপারে প্রশাসনের কাছে সুবিচার প্রার্থনা করেছেন।