নিউজ ডেস্ক:
প্রধান নির্বাচন কমিশনার কেএম নুরুল হুদা বলেছেন, রংপুর সিটি করপোরেশন (রসিক) নির্বাচন অবাধ সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ করতে সব প্রার্থীকে সমান সুযোগ দেয়া হবে।
বৃহস্পতিবার বিকেলে রংপুর জিলা স্কুল অডিটরিয়ামে মেয়র, সংরক্ষিত ও সাধারণ কাউন্সিলর প্রার্থীদের সঙ্গে নির্বাচনী বিধিমালা নিয়ে মতবিনিময়কালে তিনি একথা বলেন।
এর আগে দুপুরে রংপুর বিভাগীয় কমিশনার কাজী হাসান আহমেদের সভাপতিত্বে প্রধান নির্বাচন কমিশনার কেএম নুরুল হুদা বিভাগীয় কমিশনার কার্যালয়ের সভা মিলনায়তনে আইন শৃঙ্খলা ও নির্বাচন সংশ্লিষ্ট অন্যান্য বিষয় নিয়ে বিভাগীয় কমিশনার, ডিআইজি, জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার ও নির্বাচন কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন। পরে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি জানান, রসিক নির্বাচনে সেনাবাহিনী মোতায়েনের প্রয়োজন হবে না। তিনি বলেন, প্রস্তাবিত রংপুর মেট্রোপলিটনে ৬টি থানায় প্রক্যেকটি একটি করে নির্বাচনী ক্যাম্প করতে পারবে মেয়র প্রার্থীরা। এজন্য তিনি নির্বাচন রির্টানিং কর্মকর্তাকে নির্দেশ দেন। শুক্রবার থেকে ৩৩ জন ম্যাজিস্ট্রের মাধ্যমে ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা হবে বলে জানান তিনি।
কেএম নুরুল হুদা বলেন, ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্রগুলোতে বিশেষ প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। অবাধ, নিরপেক্ষ ও সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানের স্বার্থে প্রতিটি কেন্দ্রে ২২ থেকে ২৩ জন করে র্যাব, পুলিশ, বিজিবি, আনসার নিয়োজিত থাকবে। এজন্য ৪ স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন হবে বলে তিনি আশাবাদী। তিনি বলেন, নির্বাচনে কালোটাকার ব্যবহারে নজরদারিতে রাখা হবে। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ডিজিটাল ভোটিং মেশিন (ডিভিএম) আসার পর ভোটাররা গ্রহণ করলে তা পরীক্ষামূলকভাবে চালু করা হবে। তিনি একাধিক কেন্দ্রে সিসি টিভি স্থাপনের কথা জানান।
আগামী ২১ ডিসেম্বর রসিক নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এবার মোট ভোটার রয়েছে ৩ লাখ ৯৩ হাজার ৯৯৪ জন। এর মধ্যে নারী ভোটার ১ লাখ ৯৭ হাজার ৬৩৮ জন ও পুরুষ ভোটার ১ লাখ ৯৬ হাজার ৩৫৬ জন। পুরুষের চেয়ে নারী ভোটারের সংখ্য বেড়েছে ১ হাজার ২৮২ জন। এবার মোট ভোটার বেড়েছে ৩৬ হাজার ২৫২ জন। ভোট কেন্দ্র রয়েছে ১৯৩টি।