জাহিদুর রহমান তারিক,ঝিনাইদহঃ তিন বছর আগে ঝিনাইদহ এলজিইডি থেকে চিঠি দিয়ে জানানো হয় প্রাইমারি স্কুলটি ঝুকিপুর্ন। সে হিসেবে পরিত্যক্ত ঘোষনা করা হলেও জায়গার অভাবে ঝুকিপুর্ন ভবনে চলছে পাঠদান। শিক্ষাথীদের মাথার উপরে খসে পড়ছে পলেস্তারা। খোয়া ও বালিতে নোনা লেগে বেড়িয়ে পড়েছে রড। তারপরও কর্তৃপক্ষের কোন নজর নেই। ঝিনাইদহ সদর উপজেলার পূর্ব রাঙ্গিয়ারপোতা সরকারী প্রাইমারি স্কুলের চিত্র এটি। যে কোন সময় বড় ধরনের দূর্ঘটনার আশংকা থাকলেও এ দিকে কারো নজর নেই। সরেজমিনে স্কুলে গিয়ে দেখা গেছে, পুরাতন ভবনটির ছাদ বেশির ভাগ স্থানে খসে পড়েছে। বৃষ্টি হলেই তাদের স্কুল ছেড়ে বাড়ি যেতে হয়। বৃষ্টির পানি পড়ে বই খাতা ভিজে যাই। স্কুলের সহকারী শিক্ষক আব্দুল ওয়াদুদ জানান, আমরা খুব কস্টের মধ্যে আছি। কখন যে দুর্ঘটনার মধ্যে পড়তে হয় তা আল্লাহ পাকই জানেন। ভবন ঝুকিপুর্ন হওয়ায় অভিভাবকরা তাদের সন্তানদের স্কুলে পাঠানো বন্ধ করে দিচ্ছে। তিনি বলেন, কর্তৃপক্ষ অনেক আগেই ভবনটি পরিত্যাক্ত দেখালেও নতুন কোন ভবন করা হয়নি। ফলে বাধ্য হয়ে ঝুকিপুর্ন ভবনে ক্লাস নিতে হচ্ছে। এখন বর্ষার সময় ছাদ চুয়ে পানি ঝরে বিজে যায় শিক্ষার্থীদের বই খাতা। তারপরও আমরা নিরুপায়। ১নং সাধুহাটি ইউনিয়ন চেয়ারম্যান কাজী নাজির উদ্দীন জানান বিষয়টি দুঃখ জনক। দির্ঘদিন ধরে ছাত্র-ছাত্রীরা ঝুকির মধ্যে ক্লাশ করবে এটা কোন ভাবেই মেনে নেওয়া যাচ্ছে। তিনি ভবনটি ভেঙ্গে দ্রুত নতুন বিল্ডিং নির্মানের দাবী জানান। জেলা শিক্ষা অফিসার শেখ আক্তারুজ্জামান জানান, বিষয়টি আমার জানা নেই। আমি খোঁজ খবর নিয়ে ব্যবস্থা গ্রহন করবো।