নিউজ ডেস্ক:
হিমবাহ আর দুই মেরুর বরফ দ্রুত হারে গলার ফলে ১০০ বছর পর পৃথিবীর কোন কোন শহরগুলি তলিয়ে যাবে সমুদ্রগর্ভে। সাম্প্রতিক এক গবেষণার পর এমন তথ্য নিশ্চিত করলো মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসা।
১। অনিবার্য ধ্বংসের মুখে দাঁড়িয়ে প্রহর গুণছে ম্যাঙ্গালোর। উষ্ণায়নের ফলে ম্যাঙ্গালোরে সমুদ্রের পানির স্তর ১০০ বছর পর বাড়বে ১৫.৯৮ সেন্টিমিটার। যার ফলে একেবারেই তলিয়ে যাবে ম্যাঙ্গালোর শহর।
২। ভারতের বাণিজ্য নগরী মুম্বাইও বাঁচবে না ধ্বংসের হাত থেকে। সমুদ্রের পানির স্তর যে দ্রুত হারে বাড়ছে তাতে ১০০ বছর পর অনিবার্য ভাবেই পানির অতলে তলিয়ে যাবে মুম্বাইই। এছাড়া তলিয়ে যাবে ভারতের অন্ধ্রপ্রদেশের বন্দর শহর কাকিনাড়াও।
৩।
নাসার বিজ্ঞানী সুরেন্দ্র অধিকারী বলছেন, রেহাই পাবে না বাংলাদেশের বন্দর শহর চট্টগ্রামও। বিশ্বের বাকি ২৯২টি শহরের সঙ্গে চট্টগ্রামও হারিয়ে যাবে পানির অতলে। সমুদ্রের জল-স্তর যে ভাবে বাড়ছে, তাতে চট্টগ্রামকে বাঁচানো আর সম্ভব হবে না।
৪। কয়েক বছর আগে ব্রিটিশদের হাতছুট হয়ে পাকাপাকি ভাবে চিনের ‘পকেটে’ ঢুকলেও সমুদ্রের পানির স্তর হু হু করে বেড়ে চলায় তলিয়ে যাবে হংকং শহরও। নাসার গবেষণায় এমনটাই দাবি করা হয়েছে।
৫। সমুদ্রে পুরোপুরি ডুবে যাবে দ্বীপরাষ্ট্র শ্রীলঙ্কার রাজধানী, বন্দর শহর কলম্বোও।
৬। নাসার সাম্প্রতিক গবেষণা বলছে, সমুদ্রের পানির স্তর আর ১ মিটার বাড়লেই ভারতীয় উপমহাদেশের অন্তত ১৪ হাজার বর্গ কিলোমিটার এলাকা সমুদ্রের অতলে তলিয়ে যাবে। হারিয়ে যাবে চীনের অন্যতম ব্যস্ত বন্দর শহর সাংহাই।
৭। তলিযে যাবে স্ট্যাচু অফ লিবার্টির চকচকে শহর নিউ ইয়র্কও।
৮। ২১০০ সালে সমুদ্রতল উঠে আসবে ০.৫১ মিটার থেকে ১.৩১ মিটার। তার ফলে জলের অতলে তলিয়ে যাবে লন্ডন শহর।
৯। যে দ্রুত হারে হিমবাহ আর দুই মেরুর বরফ গলছে, তাতে নাসার জোর আশঙ্কা, ১০০ বছর পর সমুদ্রগর্ভে তলিয়ে যাবে জাপানের রাজধানী শহর টোকিও।