নান্দাইল প্রতিনিধি ঃ ময়মনসিংহের নান্দাইল উপজেলায় ২০১৭-১৮ অর্থ বছরে মাননীয় প্রধান মন্ত্রী কার্যালয়ের আশ্রায়ন- ২ প্রকল্পের আওতায় নান্দাইল উপজেলার ১৩টি ইউনিয়ন ও নান্দাইল পৌর সভা এলাকায় নিজ জমিতে গৃহ নিমার্ণ খ-শ্রেণীর আওতায় ৪শত ৪০টি গৃহ নিমার্ণ প্রকল্প অনুমোদিত হয়েছে। প্রতিটি ঘর নিমার্ণে বরাদ্দকৃত অনুদান ১লক্ষ টাকা। এতে করে নান্দাইল উপজেলার জন্য ৪ কোটি ৪০লক্ষ টাকা বরাদ্দ প্রদান করা হয়েছে। সরকারী নীতিমালা মোতাবেক যে সমস্ত দরিদ্র মানুষের নিজস্ব ১০শতাংশ ভূমি রয়েছে। তাদের তালিকা করেন প্রতিটি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানগণ। নান্দাইল পৌর সভায় ২৫জন ১নং বীর বেতাগৈর ইউনিয়ন ৩২জন, ২নং মোয়াজ্জেমপুর ইউনিয়ন ৪২জন, ৩নং নান্দাইল ইউনিয়ন ৩৪জন (এর মাঝে ১৯জন শুধু মাত্র রসুলপুর গ্রামে), ৪নং চন্ডীপাশা ইউনিয়ন ২৬জন, ৫নং গাংগাইল ইউনিয়ন ২১জন, ৬নং রাজগাতী ইউনিয়ন ৩৮জন, ৭নং মুশুলী ইউনিয়ন ২৫জন, ৮নং সিংরইল ইউনিয়ন ৪২জন, ৯নং আচারগাঁও ইউনিয়ন ৩২জন, ১০ শেরপুর ইউনিয়ন ৩৫জন, ১১ খারুয়া ইউনিয়ন ৩৬জন, ১২ জাহাঙ্গীরপুর ২০জন ও নব-গঠিত ১৩নং চর-বেতাগৈর ইউনিয়নে ৩০জন বরাদ্দ পেয়েছেন। প্রতিজন বরাদ্দ প্রাপ্ত ব্যক্তি নিজ ভূমিতে একটি ঘর করার জন্য ১লক্ষ টাকা প্রাপ্ত হবেন। মঙ্গলবার (২৯ শে মে) নান্দাইল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা দপ্তরে তালিকায় নাম আছে কি না দেখার জন্য কয়েকশত গরিব মানুষ ভিড় জমায়। নান্দাইল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার দপ্তর থেকে জনগণকে জানানো হয়েছে এই প্রকল্পে কাউকে কোন প্রকার টাকা পয়সা/ সেলামী/ ঘুষ প্রদান না করার জন্য বলা হয়েছে। তালিকায় দেখা যায় ৩নং নান্দাইল ইউনিয়নের রসুলপুর গ্রামে ( বর্তমান ইউপি চেয়ারম্যানের বাড়ী)। তিনি ৩৪টি ঘরের মধ্যে ১৯টি ঘর নিজ গ্রামে দিয়েছেন। বাকি সারা ইউনিয়ন এলাকায় দিয়েছেন ১৫টি ঘর। বিষয়টি নিয়ে এলাকায় বিরুপ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে।