রফিকুল ইসলাম, নান্দাইল (ময়মনসিংহ) প্রতিনিধিঃ নান্দাইলে অটোচালক রানা (১৫) হত্যা মামলার আসামী ও অটোরিক্সা ছিনতাইকারীর অন্যতম হোতা ইমন (১৯) শনিবার রাতে পুলিশের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে নিহত হয়েছে। এ বন্দুকযুদ্ধে নান্দাইল থানার এসআই নাজিম উদ্দিন ও কনস্টেবল মোক্তার হোসেন আহত হয়। নান্দাইল থানার ওসি মো. কামরুল ইসলাম মিঞা বিষয়টি নিশ্চিত করেন। জানাযায়, আসামী ইমন আটকের পর শনিবার মধ্যরাতে পলাতক আসামি প্রান্ত (২২)কে গ্রেফতারের জন্য অভিযানে যায় নান্দাইল থানা পুলিশ। পরে উপজেলার চৌরাস্তা খলাপাড়া এলাকায় পৌঁছলে পলাতক আসামী প্রান্ত ও তার অজ্ঞাত সহযোগীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট, পাটকেল ছোড়ে ও আসামী ইমনকে ছিনিয়ে নেওয়ার জন্য অতর্কিত গুলি বর্ষণ শুরু করে। তখন ওসির নির্দেশে আত্মরক্ষার জন্য পুলিশও পাল্টা গুলি ছুড়ে। পরে উভয়ের মধ্যে গুলি বিনিময়ের সময় কৌশলে আটক ইমন পুলিশকে ধাক্কা মেরে পালিয়ে যায়। গোলাগুলির এক পর্যায়ে আসামিরা সবাই পালিয়ে যায়। এসময় এসআই নাজিম উদ্দিন ও কনস্টেবল মোক্তার আহত হয়। পরে এলাকায় তল্লাশিকালে ইমনকে গুলিবৃদ্ধ অবস্থায় নান্দাইল থানা পুলিশ উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য দ্রæত ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ (মমেক) হাসপাতালে আনা হলে কর্তব্যরত ডাক্তার তাকে মৃত ঘোষণা করেন। ঘটনাস্থল থেকে তিনটি গুলির খোসা, ৩টি বড় ছোড়া ও ইট পাটকেলের টুকরা উদ্ধার করা হয়। আসামী ইমনের নামে হত্যা সহ একাধিক মামলা রয়েছে বলে জানাযায়। উল্লেখ্য, গত বৃহস্পতিবার (১৭মে) রাতে বড়াইল এলাকায় গাংগাইল ইউনিয়নের মহাদেবপুর গ্রামের অটোরিক্সা চালক রানাকে হত্যার পর অটোরিক্সাটি ছিনতাই করে নিয়ে যায় দূর্বৃত্তরা। পরের দিন শুক্রবার সকালে বড়াইল খলাপাড়া এলাকার ধানক্ষেত থেকে হাত-পা ও মুখ বাধা অবস্থায় তার মরদেহ উদ্বার করে। অপরদিকে হত্যার দিন বৃহস্পতিবার রাতেই ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলার আঠারবাড়ী রায়েরবাজারে ছিনতাইকৃত অটোরিক্সাটি বিক্রির সময় সন্দেহভাজন জনতার হাতে ধরা ইমনা ধরা পড়লে তাকে স্থানীয় পুলিশ ফাঁিড়তে আটক করা হয়। এ হত্যার ঘটনায় অটোচালকের বাবা আব্দুর রহিম বাদী হয়ে শুক্রবার একই গ্রামের প্রান্ত ও ইমন সহ অজ্ঞাত আরও কয়েকজনকে আসামী করে নান্দাইল থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। বন্দুকযদ্ধের ঘটনায় নান্দাইল মডেল থানা পুলিশ বাদী হয়ে অজ্ঞাত আসামীদের নামে আরও একটি মামলা দায়ের করেছে বলে পুলিশ জানায়।