নিউজ ডেস্ক:
কানাডায় যাঁরা ঘুরতে আসেন তাঁদের ট্যুর প্ল্যানে সাধারণত ফেরিল্যান্ডের নাম থাকে না। কিন্তু হঠাৎই এই ছোট্ট সমুদ্র শহরের সৈকতে ভিড় জমাতে শুরু করলেন পর্যটকরা। চলল সেলফি তোলার ধুম। ফেসবুক, ইনস্টাগ্রামের পেজও ভরে উঠল। কিন্তু হঠাৎ কেন এই কাণ্ড?
কানাডার নিউফাউন্ডল্যান্ডের শহরে অতলান্তিক সাগরের তীরে রয়েছে এই ফেরিল্যান্ড। মেরে কেটে ৫০০ লোকের বসবাস। পর্যটকরাও তেমন ভিড় জমান না শান্ত এই শহরের সমুদ্র তীরে। সম্প্রতি এই শহরেই ভেসে এসেছে বিশালাকার একটি বরফের চাঁই। ‘আইসবার্গ অ্যালে’ নামেই স্থানীয়দের মধ্যে জনপ্রিয় হয়েছে বরফের চাঁইটি। ফেরিল্যান্ডের মেয়র আদিরান কভানগ বলেন, ‘‘আয়তনে এটা বিশাল বড়। উচ্চতা প্রায় ২০০ ফুট। শহরের যে কোনও প্রান্ত থেকে এটি দেখা যাচ্ছে। এর আগে কখনও এমনটা হয়নি।’’
এই ঘটনার পর থেকেই প্রচুর পর্যটক ভিড় জমাতে থাকেন ফেরিল্যান্ডের রাস্তা। রাস্তায় গাড়ির লাইন পড়ে যায়।
বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, যে হিমশৈলে ধাক্কা খেয়ে টাইটানিক ডুবেছিল এই হিমশৈলটি তার থেকেও আয়তনে বড়। তাঁদের মতে, আবহাওয়ার খামখেয়ালিপনার কারণেই এমন অদ্ভুত ঘটনা ঘটেছে। এ বছরই ৬১৬টি বরফের চাঁই দেখা গিয়েছে এখানে। তবে এটার মতো বিশালাকার কোনওটাই নয়। জলের স্রোত, তাপমাত্রা, জলে বরফের পরিমাণ, হাওয়ার দিক এবং গতিবেগ-ই এর প্রধান কারণ।
সূত্র :Anandabazar