নিউজ ডেস্ক:
চুয়াডাঙ্গায় অস্থায়ী পুলিশ ক্যাম্পের ভবিষ্যৎ নির্ধারণে ওয়ার্কশপ অনুষ্ঠিত হয়েছে। চুয়াডাঙ্গা সদর থানা পুলিশের আয়োজনে গতকাল বৃহস্পতিবার বেলা ১১টার দিকে শিল্পকলা একাডেমির উন্মুক্ত মঞ্চে এ ওয়ার্কশপ অনুষ্ঠিত হয়। অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) আবু তারেকের সভাপ্রতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে বক্তব্য দেন চুয়াডাঙ্গা-১ আসনের সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা সোলায়মান হক জোয়ার্দ্দার ছেলুন।
এ সময় জেলার ১৭টি অস্থায়ী পুলিশ ক্যাম্পের গুরুত্ব অনুধাবন করে প্রধান অতিথি সোলায়মান হক জোয়ার্দ্দার ছেলুন বলেন, একট সময় চুয়াডাঙ্গা ছিল রক্তাক্ত জনপদ। প্রতিদিনই দুই-একটি করে মার্ডার হতো। ওই সব হত্যাকাণ্ডের মধ্যে অনেক মৃতদেহ বেওয়ারিশ হিসেবে দাফনও করা হয়েছে। সে সময় জননেত্রী শেখ হাসিনার সরকার জনগণের নিরাপত্তার কথা ভেবে জনগুরুত্বপূর্ণ এলাকাগুলোতে এসব পুলিশ ক্যাম্প স্থাপন করেন। কিন্তু বর্তমানে সেই অবস্থা আর নেই। ফলে সরকার চিন্তা করছে এত পুলিশ ক্যাম্প রেখে খরচা বাড়িয়ে লাভ নেই। তবে অস্থায়ী পুলিশ ক্যাম্প রাখার গুরুত্ব আছে উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, বর্তমানে অপরাধ কম হয়েছে এটা সত্য। তবে অপরাধ কম হলেও অপরাধের ধরণ পরিবর্তন হয়েছে। এখন নতুন নতুন উপায়ে অপরাধ সংঘটিত হচ্ছে। জামায়াত-শিবির দেশকে অস্থিতিশিল করার জন্য ব্যাপক ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে।
এ সময় পুলিশ ও কিছু সাংবাদিকদের প্রতি ক্ষোভ প্রকাশ এমপি ছেলুন জোয়ার্দ্দার বলেন, ‘আপনাদের কাছে তথ্য না থাকলেও আমার কাছে তথ্য আছে জঙ্গিরা সংগঠিত হচ্ছে। প্রতিনিয়ত তারা এ জেলাতে মিটিং করছে। একেক দিন একেক মসজিদে ফজরের নামাজ আদায় করছে। তারপর কেন্দ্রের নির্দেশনা অনুযায়ী দেশকে অচল করার জন্য পাঁয়তারা করছে। আর কেউ কেউ তাদের সহযোগিতা করছে।’ এসব ঘটনার তথ্য পুলিশ চাইলে তার কাছ থেকে নিতে পারে উল্লেখ করে তিনি সাম্প্রতিক এ জেলার বেশ কিছু অপরাদের চিত্র তুলে ধরেন। তার মধ্যে খাশকররার ডাবল মার্ডার, মুন্সিগঞ্জের গরুর ব্যাপারীদের আটকে ছিনতাইসহ ইত্যাদি তুলে ধরেন। ফলে এসব অস্থায়ী পুলিশ ক্যাম্পগুলো উঠে গেলে অপরাধের মাত্রা আরও বেড়ে যেতে পারে বলে তিনি শঙ্কা প্রকাশ করেন। ফলে অস্থায়ী পুলিশ ক্যাম্পগুলো যাথে থাকে, তার সব ব্যবস্থা তিনি করবেন বলে আশ্বস্ত করেন।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিতি থেকে বক্তব্য দেন জেলা প্রশাসক নজরুল ইসলাম সরকার। বিশেষ অতিথি হিসেবে আরও বক্তব্য দেন সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সাদিকুর রহমান। অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন চুয়াডাঙ্গা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু জিহাদ খান, দামুড়হুদা থানার ওসি আব্দুল খালেক, জীবননগর থানার ওসি সাইফুল ইসলাম, আলমডাঙ্গা থানার ওসি আলমগীর কবির ও দর্শনা থানার ওসি মাহবুবুর রহমান। এ ছাড়াও ওই ১৭টি অস্থায়ী পুলিশ ক্যাম্প এলাকার জনপ্রতিনিধি, সমাজসেবক, ব্যবসায়ীরাসহ রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গ বক্তব্য দেন। অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) কনক কুমার দাস অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন।