নিউজ ডেস্ক:
দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে একমাত্র বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধিই ধারাবাহিকভাবে বেড়েছে বলে জানিয়েছেন বিশ্বব্যাংকের বাংলাদেশ কার্যালয়ের প্রধান অর্থনীতিবিদ ড. জাহিদ হাসান।
গতকাল বুধবার বিশ্বব্যাংকের বাংলাদেশ কার্যালয়ে অর্থনৈতিক সাংবাদিকদের নিয়ে ‘ডেভেলপমেন্ট প্রোগ্রেস অ্যান্ড চ্যালেঞ্জ : সাউথ এশিয়ান পার্সপেক্টিভ’ শীর্ষক দিনব্যাপী কর্মশালার তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর গত ৫ বছরের প্রবৃদ্ধি বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, দক্ষিণ এশিয়ার প্রতিটি দেশের প্রবৃ্দ্ধিই ওঠানামা করছে। তবে একমাত্র বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধি প্রতি বছরই বেড়েছে।
ড. জাহিদ হাসান বলেন, বাংলাদেশকে আরও ভালো করতে হলে দুটি বিষয়ে গুরুত্ব দিতে হবে। তা হলো সাউথ এশিয়ার ডেমোগ্রাফি এবং জিওগ্রাফি। ভবিষ্যতে দক্ষিণ এশিয়ার উন্নয়নে এই দুটিই হলো প্রধান সম্পদ। দক্ষিণ এশিয়া পৃথিবীর একটা ট্রান্সপোর্টেশন হাব হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। একটা বড় বাজার হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। যেখানে দেশি-বিদেশি বিনিয়োগকারীরা বিনিয়োগ করতে পারে।
দক্ষিণ এশীয় অঞ্চলের উন্নয়নের চ্যালেঞ্জগুলো তুলে ধরে তিনি বলেন, আমাদের বাণিজ্যিক সম্পর্কগুলো খুবই দুর্বল। সেটা অভ্যন্তরীণ ও দক্ষিণ এশীয় আঞ্চলিক বাণিজ্যের ক্ষেত্রেও। দক্ষিণ এশিয়ার সঙ্গে দক্ষিণ এশিয়ার বাইরের দেশের সঙ্গেও। এক্ষেত্রে দক্ষিণ এশিয়ার অবস্থান পূর্ব এশিয়ার অনেক নিচে।
তিনি বলেন, দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোতে কস্ট অব ডুইং বিজনেস (ব্যবসায় ব্যয়) খুব উচ্চ। রেগুলেশন ও অবকাঠামো সমস্যা দক্ষিণ এশিয়ার একটা বড় সমস্যা। এছাড়া বাংলাদেশের ক্ষেত্রে আমরা আমাদের প্রতিযোগী দেশগুলোর তুলনায় বিশেষ করে চীন ও ভিয়েতনামের তুলনায় বেশি পিছিয়ে। রপ্তানি বহুমুখীকরণে আমাদের অবস্থান দুর্বল।
এ সময় আশার দিক তুলে ধরে তিনি বলেন, এত সমস্যার মধ্যেও দক্ষিণ এশিয়ার কিছু দেশে আশার দিক রয়েছে। তা হলো এগ্রো বিজনেস ও তৈরি পোশাক- যেখানে আমরা ভালো করছি। সেখানে আরও ভালো করার সুযোগ আছে। যেসব পণ্যে ভালো করেছি, সেখানে আরও ভালো করার সুযোগ আছে। রপ্তানি বহুমুখীকরণের ক্ষেত্রেও সুযোগ রয়েছে।
কর্মশালায় উদ্বোধনী বক্তব্যে বিশ্বব্যাংকের কান্ট্রি ডিরেক্টর চিমিয়াও ফ্যান বলেন, গত ২ বছরে বাংলাদেশ উল্লেখযোগ্য সাফল্য দেখিয়েছে। এর মধ্যে দারিদ্র্য হ্রাস অন্যতম। আর উন্নয়নের দিক থেকে ওই সময়ে ভারত ও পাকিস্তানের চেয়েও এগিয়ে গেছে।
এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন দেশের অর্থনৈতিক সাংবাদিকদের সংগঠন ইকোনোমিক রিপোর্টার্স ফোরামের (ইআরএফ) সভাপতি সাইফ ইসলাম দিলাল এবং সাধারণ সম্পাদক জিয়াউর রহমান। ইআরএফ এ কর্মশালার আয়োজন করে।