নিউজ ডেস্ক:
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে ইতিমধ্যেই ভোলার রাজনৈতিক অঙ্গন সরগরম হয়ে উঠেছে। জেলার চারটি আসনের মধ্যে ভোলা-১ সদর আসনটি সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ।
এ আসনে কোন দল থেকে কে প্রার্থী হচ্ছেন তা নিয়ে চলছে আলোচনা
সবখানে। বিভিন্ন রাজনৈতিক সভা-সমাবেশ ও সামাজিক অনুষ্ঠানে এমনকি চায়ের দোকানের আড্ডায়ও ঘুরেফিরে আসছে আগামী ভোটযুদ্ধের সম্ভাব্য প্রার্থীদের নাম।
ভোলা-১ বা ভোলা সদর আসনে বর্তমান এমপি হচ্ছেন ’৬৯ এর গণঅভ্যুত্থানের মহানায়ক, বঙ্গবন্ধুর রাজনৈতিক সচিব ভোলার কীর্তিমান পুরুষ, বর্তমান সরকারের বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ। এ আসন থেকে
আগামী নির্বাচনেও ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের প্রার্থী হবেন তিনি। দলীয় নেতা-কর্মীরা ভোলা সদর
আসনে আগেরমতো এখনো তোফায়েল আহমেদের বিকল্প কারও কথা ভাবছেন না। তাদের কথা, তোফায়েল আহমেদ ভোলার উন্নয়নে ব্যাপক কাজ করে চলেছেন। ভোলায় মজুদ বিপুল পরিমাণ গ্যাস কাজে লাগিয়ে এখানে অনেক শিল্পকারখানা স্থাপনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছেন। ইতিমধ্যেই ভোলায় শিল্পজোন স্থাপনের জন্য জমি নির্ধারণ করেছেন। ভোলা-বরিশাল সড়ক নির্মাণের সম্ভাব্যতা যাচাইর কাজ শুরু করেছেন।
পটুয়াখালীর পায়রা বন্দর থেকে ভোলার বাগমারা-বাংলাবাজার-দৌলতখান হয়ে চট্টগ্রাম পর্যন্ত সড়ক নির্মাণের উদ্যোগ নিয়েছেন। দলীয় নেতা-কর্মী-সমর্থকদের পাশাপাশি সাধারণ ভোটাররাও জানান, তাদের প্রিয় নেতা তোফায়েল আহমেদ আগামী মেয়াদে পুনরায় এমপি নির্বাচিত হলে চলমান উন্নয়ন প্রকল্পগুলো বাস্তবায়িত হবে। আর তখন ভোলা হবে দক্ষিণাঞ্চলের সিঙ্গাপুর। এ আসনে বিএনপি জোটের প্রার্থী হিসেবে আলোচনায় রয়েছেন বিজেপির চেয়ারম্যান সদর আসনের সাবেক এমপি ব্যারিস্টার আন্দালিভ রহমান পার্থ। এ ছাড়া ভোলা জেলা বিএনপির সভাপতি সাবেক পৌর মেয়র আলহাজ গোলাম নবী আলমগীরকেও প্রার্থী হিসেবে দেখতে চান স্থানীয় বিএনপির নেতা-কর্মীরা। কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও বর্তমানে বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী সদস্য হায়দার আলী লেলিনের সমর্থকরাও তাকে মাঠে নামাতে চান। এ ছাড়া বিভিন্ন সভা-সমাবেশ ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের সম্ভাব্য প্রার্থী হিসেবে মুফতি মো. ইয়াসিন নবীপুরীর নাম ঘোষণা করে নির্বাচনে প্রস্তুতির জন্য নেতা-কর্মীদের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছেন দলের সিনিয়র নায়েবে আমির মুফতি মো. ফয়জুল করীম। দলীয় প্রস্তুত হওয়ার জন্য আহ্বান জানান।
bd-pratidin