বৃহস্পতিবার, ফেব্রুয়ারি ১৩, ২০২৫
বৃহস্পতিবার, ফেব্রুয়ারি ১৩, ২০২৫

তিস্তার ভাঙন রোধে ফেলা হচ্ছে জিও টিউব

 বায়েজীদ (গাইবান্ধা জেলা প্রতিনিধি) :

তিস্তার অব্যাহত ভাঙন ঠেকাতে গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় ফেলা হচ্ছে জিও টিউব। উপজেলার তারাপুর, বেলকা, হরিপুর, কঞ্চিবাড়ি, চন্ডিপুর, শ্রীপুর ও কাপাসিয়া ইউনিয়নের উপর দিয়ে প্রবাহিত তিস্তার ভাঙন সারা বছর ধরে চলমান থাকায় ভিটা মাটি হারা হচ্ছে হাজার হাজার পরিবার।  উজান থেকে নেমে আসা ঢলে পলি জমে গতিপথ পরিবর্তন হওয়ায় অসংখ্য শাখা নদীতে পরিণত হয়েছে তিস্তা।

সে কারণে ভাঙনের তীব্রতা ব্যাপক আকার ধারণ করছে। আর সেই ভাঙন ঠেকাতে স্থানীয় সংসদ সদস্য ব্যারিস্টার শামীম হায়দার পাটোয়ারী জাতীয় সংসদে নদী ভাঙন রোধ, সংস্কার, সংরক্ষণ ও পুনর্বাসনের জন্য পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের দৃষ্টি আকর্ষণ করে বক্তব্য দেন।

এরই প্রেক্ষিতে ৪২০ কোটির টাকার একটি প্রকল্প অনুমোদন দেন সরকার । সেই প্রকল্পের আওতায় গাইবান্ধা ও কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ড সুন্দরগঞ্জ উপজেলার হরিপুর ইউনিয়নের কাশিম বাজার, মাদারী পাড়া, কাপাসিয়া ইউনিয়নের ভাটি কাপাসিয়া, বাদামের চর, শ্রীপুর ইউনিয়নের লালচামার এলাকায় ভাঙন রোধে জিও টিউব ফেলা হচ্ছে।

ইতিমধ্যে হরিপুর ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকায় ১ হাজার জিও টিউব ফেলা হয়েছে। কাশিম বাজার গ্রামের স্কুল শিক্ষক রফিকুল ইসলাম জানান বর্তমানে ভাঙন অব্যাহত রয়েছে। তবে তীব্রতা একটু কম।

এছাড়া পানি উন্নয়ন বোর্ড জিও টিউব ফেলার কারনে অনেকটা ভাঙন রেহাই পেয়েছে। তিনি বলেন নদীর গতিপথ পরিবর্তন করে ভাঙন রোধে স্থায়ী ব্যবস্থা নিতে হবে। হরিপুর ইউপি চেয়ারম্যান নাফিউল ইসলাম জিমি জানান, তিস্তা অসংখ্য শাখা নদীতে রুপ নেয়ায় ভাঙন তীব্র আকার ধারণ করেছে।

সে কারণে নদীর গতিপথ পরিবর্তনের জন্য ড্রেজিং ও খননের ব্যবস্থা করতে হবে। জিও টিউব ফেলে স্থায়ীভাবে নদী ভাঙন রোধ সম্ভব নয়। কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ডের নিবার্হী প্রকৌশলী আরিফুল ইসলাম জানান, জিও টিউব ফেলা কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে। কাশিম বাজার এলাকায় জিও টিউব ফেলার কারণে ভাঙন অনেকটা রক্ষা হয়েছে।

Similar Articles

Advertismentspot_img

Most Popular