দর্শনা কেরুজ বাণিজ্যিক খামারের গাছ সরিয়ে নেওয়ার ঘটনা
নিউজ ডেস্ক:কেরুজ ৬২ নম্বর আড়িয়া বাণিজ্যিক খামারে গোপনে গাছ সরিয়ে নেওয়ার ঘটনায় তিন সদস্যবিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। আগামী ১৬ জুন মঙ্গলবারের মধ্যে সুষ্ঠু তদন্তপূর্বক প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দিয়েছেন চিনিকলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আবু সাইদ। চিনিকলের ইক্ষু উন্নয়নের উপব্যবস্থাপক আব্দুর রউফকে আহ্বায়ক করে তিন সদস্যবিশিষ্ট কমিটিতে রয়েছেন অর্থ বিভাগের (ডিএম) গোলাম জাকারিয়া ও ডিস্টিলারী বিভাগের উৎপাদন শাখার (ডিএম) আল-আমিন।
সুষ্টু তদন্ত কমিটি গঠনের পর এ বিষয়ে এলাকাবাসী জানান, ‘কেরুজ বাণিজ্যিক খামারগুলোতে প্রায়ই ঘটে যাওয়া এ ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনার পর তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। তবে সুষ্ঠু তদন্তের পর বেশির ভাগ সময়ই প্রকৃত দোষীরা সাব্যস্ত হলেও নেপথ্যে থাকা সংশ্লিষ্ট বিভাগের কর্মকর্তারা ধরা ছোয়ার বাইরে থেকে যায়। কিছুদিন আগেও চুয়াডাঙ্গার ছয়ঘরিয়া বাণিজ্যিক খামারের আড়াই লাখ টাকার একটি নতুন ট্রাক্টরের রুটার চুরির ঘটনায় তদন্তপূর্বক চোর আটক হলেও এর নেপথ্যে সংশ্লিষ্ট বিভাগের কোনো কর্মকর্তা জড়িত ছিল কি না, তা যেমন খতিয়ে দেখা হয়নি, তেমনি গাছের বিষয়ে সর্বশেষ কী ফলাফল হবে, তা নিয়েও শঙ্কা রয়েছে জনগণের মনে। তবে বর্তমান ব্যবস্থাপনা পরিচালকের তড়িৎ তদন্ত কমিটি গঠনের ফলে জনগণের মনে নতুন করে আশা জেগেছে। হয়ত নেপথ্যে থাকা অপরাধীরা যত শক্তিশালী হোক না কেন, কোনোভাবেই ছাড় পাবে না।
উল্লেখ্য, গত বুধবার বেলা সাড়ে তিনটার দিকে ফার্মের ম্যানেজারের সহযোগিতায় ৬২ আড়িয়া বাণিজ্যিক খামারের ইনচার্জ মঞ্জুরুল ইসলামের বিরুদ্ধে গাছ চুরির অভিযোগ ওঠে। দিনে-দুপুরে চুরিকৃত গাছ পাওয়ারট্রিলারের ট্রলিতে করে নিয়ে যাওয়ার সময় স্থানীয় লোকজন তা আটক করে স্থানীয় ক্যাম্প পুলিশে খবর দেয়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে আসে। এরই মধ্যে ফার্মের ইনচার্জ মনজুরুল সরাসরি অনুমোদন নয়, গত দুই মাস আগের এমন একটি সম্মতিপত্র নিয়ে হাজির হন ঘটনাস্থলে। তবে সম্মতিপত্রে চারটি মরা গাছের নিচের অংশের কথা উল্লেখ থাকলেও পাওয়ারট্রলির ট্রলিতে পাঁচটি গাছের লগ থাকায় পুলিশের অনুরোধে পুনরায় গাছগুলি সংশ্লিষ্ট খামারে ফেরত পাঠানো হয়।