তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা ফেরাতে রিভিউ শুনানি পিছিয়ে ৯ ফেব্রুয়ারি

0
14

তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা পুনর্বহালের লক্ষ্যে সংবিধানের ত্রয়োদশ সংশোধনী বাতিলের রায় পুনর্বিবেচনার (রিভিউ) জন্য করা চারটি আবেদন আজ রোববার (১৯ জানুয়ারি) শুনানির জন্য তালিকাভুক্ত হয়েছে। জ্যেষ্ঠ বিচারপতি মো. আশফাকুল ইসলামের নেতৃত্বে ছয় বিচারপতির আপিল বেঞ্চের কার্যতালিকায় এ আবেদনের স্থান ১৩ নম্বরে। গত ১ ডিসেম্বর প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বাধীন বেঞ্চ এই শুনানির দিন ধার্য করেন।

১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগসহ অন্যান্য রাজনৈতিক দলের আন্দোলনের ফলে বিএনপি সরকার সংবিধানের ত্রয়োদশ সংশোধনী আনে। ওই বছরের ২৭ মার্চ নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা সংবিধানে অন্তর্ভুক্ত হয়। এই পদ্ধতির অধীনে ১৯৯৬, ২০০১, এবং ২০০৮ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়।

২০০৪ সালে বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের আমলে তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থাকে অগণতান্ত্রিক ও সংবিধানবহির্ভূত দাবি করে আইনজীবী এম. সলিমউল্যাহসহ তিনজন হাইকোর্টে রিট করেন। হাইকোর্ট তখন রায় দেয় যে ত্রয়োদশ সংশোধনী সংবিধানসম্মত এবং বৈধ।

২০০৭ সালের ১১ জানুয়ারিতে জরুরি অবস্থা জারি করা হয়। এরপর সেনাসমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের নেতৃত্বে বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ফখরুদ্দীন আহমদ ক্ষমতা গ্রহণ করেন। দুই বছরের বেশি সময় ক্ষমতায় থেকে এই সরকার বিতর্কিত হয় এবং তত্ত্বাবধায়ক পদ্ধতির দুর্বলতা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে।

২০০৮ সালের নির্বাচনে আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন জোট ক্ষমতায় আসে। ওই সময় রিট আবেদনকারীরা হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করেন। ২০১০ সালে আপিল শুনানি শুরু হয়। অ্যামিকাস কিউরি হিসেবে যুক্ত থাকা আটজন সংবিধান বিশেষজ্ঞ এবং তৎকালীন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা বহাল রাখার পক্ষে মত দেন। তবে ২০১১ সালের ১০ মে প্রধান বিচারপতি এ বি এম খায়রুল হক তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা বাতিলের রায় দেন।

এই রায়ের ভিত্তিতে দলীয় সরকারের অধীনে তিনটি নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। তবে আন্দোলনের মুখে গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকার পদত্যাগ করে। এরপর গত ২৭ আগস্ট বদিউল আলম মজুমদারসহ পাঁচ ব্যক্তি রিভিউ আবেদন করেন। পরে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও জামায়াতে ইসলামী ইন্টারভেনার হিসেবে এতে যুক্ত হন। এখন পর্যন্ত শুনানি তিনবার পিছিয়েছে।