নিউজ ডেস্ক:
নির্বাচনী বিধি (১৯৭৩ সালের অধ্যাদেশ) ভঙ্গের দায়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সিনেট শিক্ষক প্রতিনিধি নির্বাচনে স্বতন্ত্র দলের প্রার্থিতা বাতিল করেছে নির্বাচন কমিশন। একই সঙ্গে নির্বাচনের ৬৯ জন প্রার্থীর নাম, ব্যালট নম্বর তালিকা চূড়ান্তভাবে প্রকাশ করা হয়েছে। ৬৯ জনের মধ্যে নীল দলের আহ্বায়ক কমিটির ৩৪ জন প্রার্থী ও সাদা দলের ৩৫ জন প্রার্থী রয়েছেন।
মঙ্গলবার দুপুরে নির্বাচন কমিশনার ও বিশ্ববিদ্যালয় কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক কামাল উদ্দিন এসব তথ্য নিশ্চিত করেন।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতির সভাপতি মাকসুদ কামালের নেতৃত্বাধীন স্বতন্ত্র দলের প্রার্থীরা দুটি নির্বাচনী বিধি ভঙ্গ করেন বলে জানা যায়।
এ বিষয়ে নির্বাচন কমিশনার অধ্যাপক কামাল উদ্দিন বলেন, ‘১৯৭৩ সালের অধ্যাদেশ অনুযায়ী নির্বাচনী আচরণ বিধি ভঙ্গ করায় স্বতন্ত্র প্যানেলের প্রার্থিতা বাতিল করে চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে। ১৯৭৩ অধ্যাদেশ অনুযায়ী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা আদর্শিক-গণতান্ত্রিক চর্চা করবে। সেখান থেকে শিক্ষার্থীরা আদর্শিক মূল্যবোধ সম্পর্কে শিখবে, জানবে এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের মর্যাদা যাতে ক্ষুণ্ন না হয় সেই লক্ষ্যে শিক্ষকরা নির্বাচন করবেন।
কামাল উদ্দিন বলেন, ‘নীল দলের আহ্বায়ক কমিটি থেকে নীল কাগজ স্বতন্ত্র প্রার্থিরা ব্যবহার করে নির্বাচনী প্রচারণা চালাচ্ছে এমন অভিযোগ দেওয়া হয়েছিল। এ বিষয়টি নিয়ে শিক্ষকদের মধ্যেও বিভ্রান্তির সৃষ্টি হয়। মর্যাদা ক্ষুণ্ণ ও শিক্ষার পরিবেশ যাতে বিঘ্নিত না হয় সেজন্য নীল দলের আহ্বায়ক কমিটি থেকে নীল কাগজ স্বতন্ত্র প্রার্থীরা ব্যবহার করে নির্বাচনী প্রচারণা চালাচ্ছে এমন অভিযোগ দেওয়া হয়েছিল। সেই অনুযায়ী ১৪ মে সকালে তিন প্যানেলের প্রতিনিধিদের ডেকেছিলাম তাদের সঙ্গে আলোচনা করেছিলাম। ওই নীল দলের আহ্বায়ক ও যু্গ্ম আহ্বায়ক, সাদা দলের আহ্বায়ক ও যুগ্ম আহ্বায়ক ও স্বতন্ত্র প্যানেলের প্রতিনিধিদের সঙ্গে কথা বলেছিলাম। সেই মিটিং স্বতন্ত্র প্যানেলকে নীল, সাদা ও গোলাপী বাদে অন্য রঙে কাগজ ব্যবহার করতে বলা হয়েছিল এবং কী কাগজ ব্যবহার করবে তার একটি লিখিতপত্র দিতে বলাও হয়েছিল কিন্তু তারা তা দেয়নি, করেনি। যার কারণে তাদের প্রার্থিতা বাতিল করা হয়েছে।