রাজধানীর তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল থানা এলাকার বিটাক মোড়ে বাংলাদেশ টেক্সটাইল ইউনিভার্সিটির (বুটেক্স) শিক্ষার্থীদের সঙ্গে ঢাকা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষ হয়েছে। এতে উভয়পক্ষের অন্তত ৪০ শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন। আহতদের শমরিতা ও ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে।
রবিবার (২৪ নভেম্বর) রাত ১০টার দিকে এই সংঘর্ষ শুরু হয়। পরে পুলিশ গিয়ে দুই পক্ষকে ছত্রভঙ্গ করে দেয়।
আহতদের মধ্যে উৎসব (২৮), আজাদ (২৮), বুলবুল (২৮), প্রশান্ত (২৮), শিশির (২৮), তৌফিক (২২), রুদ্র (২৬), আনান (২৫), জুনায়েদ (২৮), সৌমিক (২৮), ইমন (২০), নাহিদ (২৩), রাকিব (২০), ইমন (২২), ইমন (২৪), প্রবাল (২২), রমজান (২৩), মো. মিঠুন (২১), ইমরান (২০), নাদিমের (২০) নাম জানা গেছে।
বিষয়টি নিশ্চিত করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ পরিদর্শক মো. ফারুক বলেন, ঢাকা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট ও বুটেক্স শিক্ষার্থীদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় ৩০ জন শিক্ষার্থীকে হাসপাতালের জরুরি বিভাগে আনা হয়েছে। জরুরি বিভাগের বিভিন্ন ওয়ার্ডে তাদের চিকিৎসা চলছে। প্রাথমিকভাবে কে কোন প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী সে বিষয়ে জানা যায়নি। আহত বাকিরা শমরিতা হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন।
জানা যায়, ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের বুটেক্স হলে মিছিল নিয়ে প্রবেশ করানো হয়েছে বলে অভিযোগ করেছে ঢাকা পলিটেকনিক শিক্ষার্থীরা। বিকেলে এবং সন্ধ্যায় এ নিয়ে দুই পক্ষের শিক্ষার্থীদের মধ্যে তর্ক-বিতর্ক হয়। রাতে তা সংঘর্ষে রূপ নেয়।
তবে বুটেক্সের শিক্ষার্থীরা এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে। তারা বলেন, কোনো কারণ ছাড়াই ঢাকা পলিটেকনিকের একদল শিক্ষার্থী রাতে বুটেক্সের শহীদ আজীজ হলে ঢুকে শিক্ষার্থীদের ওপর সন্ত্রাসী স্টাইলে হামলা চালায়। তারা ছাত্রদলের সমর্থক বলে জানতে পেরেছি। তারা দীর্ঘদিন ধরে হলে প্রবেশ করে আধিপত্য বিস্তারের চেষ্টা করছিল। সাধারণ শিক্ষার্থীদের প্রতিরোধে এত দিন পারেনি। হলকে রাজনৈতিক মুক্ত রাখার চেষ্টা করছে সাধারণ শিক্ষার্থীরা। তাই তারা সংঘবদ্ধ হয়ে এ হামলা চালিয়েছে।
উত্তপ্ত পরিস্থিতির মধ্যে রাত ১২টার দিকে দুই পক্ষের শিক্ষার্থীদের নিয়ে আলোচনায় বসে সেনাবাহিনী। তাদের বুঝিয়ে স্বাভাবিক করার চেষ্টা করে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা।
তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল থানার ওসি গাজী শামীমুর রহমান বলেন, দুটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। রাত সাড়ে ১১টার দিকে দুই পক্ষকে ছত্রভঙ্গ করা হয়েছে।