নিউজ ডেস্ক:
ডোকালাম ইস্যুতে সিকিমে ৭৩ দিন ধরে চীন-ভারত সীমান্তে মুখোমুখি দাঁড়িয়েছিল দুই দেশের সেনাবাহিনী। কিন্তু ঠিক কত সেনা মোতায়েন ছিল সেখানে? কত অস্ত্র মজুত রেখেছিল চীন? প্রকাশ পেয়েছে সেই তথ্য।
জানা গেছে, ১২০০০ সেনা মোতায়েন করেছিল চীন। রাখা হয়েছিল ১৫০টি ট্যাংক। সিকিমের কাছেই ফারি জং-এর চাম্বি ভ্যালিতে রাখা হয়েছিল সেনা ও অস্ত্র।
Securing India The Modi Way নামের ওই বইতে পাঠানকোট হামলা, সার্জিক্যাল স্ট্রাইক সহ একাধিক বিষয়ে নানা তথ্য তুলে ধরা হয়েছে। নীতিন এ গোখেলের লেখা ওই বইতে ডোকলামের স্যাটেলাইট ইমেজও দেওয়া হয়েছে। সেখান থেকে প্রমাণ পাওয়া গিয়েছে, জুন নয়, মে মাসের তৃতীয় সপ্তাহ থেকে এগিয়ে আসার চেষ্টা করছিল চিন সেনা। ২৬ জুন বিষয়টি প্রকাশ্যে আসে। ওই বইতে অজিত দোভাল সহ দেশের উচ্চপদস্থ কর্তাদের বক্তব্যও রয়েছে।
বইটি থেকে জানা গিয়েছে, ৬২-র মত যুদ্ধের হুমকি দিতে লাউডস্পিকার ব্যবহার করেছিল ডোকলামে থাকা চীন সেনা। দুই দেশের সেনার এনকাউন্টারও ধরা পড়েছে স্যাটেলাইট ইমেজে।
কিছুদিন আগেই ডোকলামে চীনা সেনার ঔদ্ধত্য দেখেছে ভারত। সীমান্তের একেবারে গা ঘেঁষে প্রায় দু’মাস ধরে দাঁড়িয়েছিল দুই দেশের সেনাবাহিনী। কেউ কাউকে একচুলও জায়গা ছাড়েনি। বারবার সীমান্ত পার করে অনুপ্রবেশের চেষ্টা করেছে চীন। বারবার যুদ্ধের হুমকিও দিতে শুরু করেছিল চীন। প্রতিনিয়ত চীনা সংবাদমাধ্যমে ভারতকে যুদ্ধের হুঁশিয়ারি দেওয়া হচ্ছিল। তবে কোনও দেশই সেনা সরাতে রাজি ছিল না। বরং ক্রমশ সেনার বহর বাড়াচ্ছিল ভারত। এর মধ্যে আবার গত ১৫ অগাস্ট লাদাখের প্যাংগং লেকে সংঘর্ষ হয় ভারত ও চীনের সেনাবাহিনীর।
অবশেষে কূটনৈতিক পর্যায়ে আলোচনার পরেই সমস্যার সমাধান হয়। পররাষ্ট্রমন্ত্রনালয়ে পক্ষ থেকে জানানো হয়,দুই দেশই সেনা সরাতে রাজি হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর চীন সফরের আগেই এই গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।