নিউজ ডেস্ক:
ডোকলামে ফের রাস্তা তৈরির কাজে হাত দিয়েছে চীন৷ পাঁচ মাস আগে এই রাস্তা তৈরি করা নিয়ে বেইজিংয়ের সঙ্গে নয়াদিল্লির সর্ম্পক শীতল হতে শুরু করেছিল৷পরিস্থিতি এমন পর্যায়ে পৌঁছায় যে শি জিংপিং প্রশাসনের সঙ্গে নরেন্দ্র মোদি প্রশাসনের সম্পর্ক প্রায় তলানিতে গিয়ে ঠেকে৷ পরে কূটনৈতিক স্তরে আলাপ-আলোচনা চালিয়ে দুই দেশের মধ্যে সম্পর্ককে আবার ঠিক ট্র্যাকে ফিরিয়ে আনা হয়৷ কিন্তু নতুন করে ফের চিন্তার ভাঁজ ফেলেছে লাল চীনের নতুন এই সিদ্ধান্ত।
এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, ডোকলামে আবার যন্ত্রপাতি, ইট, সুড়কি, বালি নিয়ে রাস্তা তৈরির কাজে হাত দিয়েছে বেইজিং৷ নিয়ে যাওয়া হয়েছে শ্রমিকদেরও৷ জানা গেছে, গতবারের বিবাদের স্থল থেকে মাত্র ১০ কিলোমিটার দুরে রাস্তা সম্প্রসারণের কাজ শুরু করেছে চীন৷ খবরে আরো বলা হয়, সেনা প্রহড়ায় শুরু হয়েছে রাস্তা তৈরির কাজ৷ ৫০০ জন সেনার তদারকিতে শুরু হয়েছে কাজ৷ গতবারের অব্যবহৃত রাস্তা নিমার্ণের সামগ্রীগুলিকে আগের জায়গা থেকে সরিয়ে উত্তর-পূর্ব প্রান্তে নিয়ে যাওয়া হয়েছে৷
এদিকে চীনের এই সিদ্ধান্তকে মোটেই ভালো চোখে নেয়নি ভারত।
পুরো বিষয়টির উপর কড়া নজর রাখছে ভারত। ইংরেজি এক দৈনিকে প্রকাশিত খবর অনুযায়ী, চীনের রাস্তা তৈরির বিষয়টিকে নজরে রাখতে বলা হয়েছে ভারতীয় সেনাকে। এমনকি, ইতিমধ্যে সেনাকে অ্যালার্টে থাকতেও মন্ত্রণালয় থেকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে। কোনো রকম চীনের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে ফের ডোকালামে সেনা মোতায়েন করা হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। যদিও এখনই এই বিষয়ে চরম কোনো সিদ্ধান্ত নেয়নি ভারত। তবে পুরো বিষয়টির উপর ভারতীয় সেনাকে সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে বলে জানা গেছে।
প্রসঙ্গত, এক মাস আগেই ভারতের সেনাপ্রধান বিপিন রাওয়াত উত্তর-পূর্ব অঞ্চলে চীনের শক্তি বৃদ্ধি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছিলেন৷ সেই সঙ্গে ভারতীয় সেনাকে যেকোন পরিস্থিতির জন্য তৈরি থাকার কথাও বলেছিলেন৷ সেনাপ্রধানের সেই উদ্বেগকে সত্যি প্রমাণ করে ডোকলামে নিজেদের গতিবিধি বাড়াতে শুরু করেছে চীন৷ তবে মনে করা হচ্ছে সেখানে কোন স্থায়ী পথ নিমার্ণ করা হচ্ছে না ৷