রিপোর্ট : ইমাম বিমান
ঠাকুরগাঁও জেলার পীরগঞ্জ উপজেলাধীন ১১নং বৈরচুনা ইউনিয়নের সংখ্যালঘু অদিবাসীদের বাড়িতে সন্ত্রাসী হামলা ও আগুন দেয়ার মামলার অন্যতম আসামী সাময়িক বরখাস্ত হওয়া ইউপি চেয়ারম্যান জালাল উদ্দীন কতৃক সাংবাদিককে হত্যার হুমকি দেয়ার প্রতিবাদ জানিয়েছে সাংবাদিক বান্ধব সংগঠন “বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক ফোরাম” বিএমএসএফ।
এ বিষয় ঠাকুরগাঁও জেলার সাংবাদিক জহিরুল ইসলামের মাধ্যমে জানাযায়, সংখ্যালঘু অদিবাসীদের বাড়িতে সন্ত্রাসী হামলার অন্যতম আসামী এবং সাময়িক বরখাস্ত হওয়া ১১নং বৈরচুনা ইউপি চেয়ারম্যান জালাল উদ্দীনের নেতৃত্বে তার ক্যাডার বাহিনী দ্বারা সাংবাদিক মুনসুর আহম্মেদের উপর সন্ত্রাসী হামলা চালিয়ে সাংবাদিক মুনসুরের ব্যবহারিত মটর সাইকেলের চাবি, মোবাইল ফোন, ক্যামেরা ও প্রয়োজনীয় কাগজপত্রাদী ছিনিয়ে এবং জিম্মী করে জোরপূর্বক সাদা কাগজে স্বাক্ষর করিয়ে নেয়া সহ সাংবাদিক মুনসুরকে হত্যার হুমকি দেয়। হামলা, ছিনতাই ও মারধর করে। এ ঘটনায় সাংবাদিক মুনসুর বাদী হয়ে গত শনিবার রাতে ঐ ইউপি চেয়ারম্যান সহ অজ্ঞাতনামা ১৫/২০ জনের বিরুদ্ধে থানায় মামলা দায়ের করেন।
মামলার এজাহার সূত্রে জানাযায়, পীরগঞ্জ উপজেলার বৈরচুনা থেকে বর্ডার র্গাড বাংলাদেশ (বিজিবি) সদস্যরা গত বুধবার ১০ বোতল ফেন্সিডিল সহ স্বাধীন চন্দ্র রায় নামে এক মাদক ব্যবাসয়ীকে আটক করে। পরে বৈরচুনা ইউ’পি চেয়ারম্যান জালাল উদ্দীন ঐ মাদক ব্যবসায়ীকে বিজিবি’র কাছ থেকে ছাড়িয়ে নেয়। বিশ্বস্ত সুত্রে এমন খবর জানতে পেরে গত বৃহস্পতিবার দৈনিক খবর পত্রের ঠাকুরগাওয়ের পীরগঞ্জ প্রতিনিধি মুনসুর আহম্মেদ ঐ ইউপি চেয়ারম্যানের নিকট ঘটনা জানতে চাইলে চেয়ারম্যান স্বীকার করে বলেন, ১০ বোতল নয় ১ বোতল ফেন্সিডিল সহ স্বাধীন চন্দ্র করে আটক করে বিজিবি। বিজিবির হাত থেকে মাদক ব্যবসায়ীকে ছাড়ালেন কেন এমন প্রশ্ন করলে তিনি সাংবাদিকের উপর ক্ষিপ্ত হন। এ নিয়ে উভয়ের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। পরদিন শুক্রবার সকালে সড়ক দূর্ঘটনার খবর পেয়ে সাংবাদিক জহিরুল বৈরচুনা ইউনিয়নের মাধবপুর গ্রামে তথ্য সংগ্রহ করতে গেলে ইউ’পি চেয়ারম্যান জালাল উদ্দীন তার ক্যাডার বাহিনী নিয়ে তাকে ঘিরে ফেলে টানা হেচড়া করে সন্ত্রসী কায়দায় তার কাছ থেকে মোবাইল ফোন, ক্যামেরা, মটরসাইকেলের চাবি সহ মূল্যবান তথ্যের কাগজপত্র কেড়ে নেয় এবং হত্যা করার হুমকি করার হুমকি দিয়ে সাংবাদিক মুনসুর আহম্মেদকে জিম্মি করে ঐ চেয়ারম্যান তার ইউ’পি কার্যালয়ে নিয়ে গিয়ে জোর পূর্বক সাদা কাগজে স্বাক্ষর গ্রহণ করে মোবাইল ফোন, ক্যামেরা ও মটর সাইকেল’র চাবি ফেরত দেন।
এ বিষয় সোমবার সন্ধায় সাংবাদিক বান্ধব সংগঠন “বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক ফোরাম” বিএমএসএফ কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি শহীদুল ইসলাম পাইলট ও সাধারন সম্পাদক আহমেদ আবু জাফর বলেন, আজ দেশ ও দেশের যুব সমাজকে বাচাতে গনপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধান মন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার উদ্যোগে দেশে মাদক বিরোধী অভিযানকে স্বাগত জানিয়ে সাংবাদিক বান্ধব সংগঠন “বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক ফোরাম” বিএমএসএফ কেন্দ্রীয় কমিটির নেতৃবৃন্দ যৌথ এক বিবৃতিতে বলেন, দেশের বিভিন্ন প্রত্যন্ত অঞ্চল বিশেষ করে প্রত্যন্ত গ্রাম গঞ্জের মাদক নিমূলে তথা গ্রামের যুব সমাজকে মাদকের হাত থেকে রক্ষা করতে প্রশাসনকে সংবাদ প্রকাশের তথা গোপন সংবাদের মাধ্যমে প্রশাসনকে সহযোগীতা করে আসছে দেশে কর্মরত মফস্বল সাংবাদিক। আসন্ন জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে বর্তমান সরকারকে কুলশিত করতে দলীয় নেতা কর্মীদের ছত্রছায়ায় ক্ষমাতার অপব্যবহার করে যুব সমাজকে ধ্বংস দিকে ঠেলে দিচ্ছে স্বার্থনেস্বি একটি কুচক্রিমহল। প্রতিনিয়ত দেশের কোন না কোন স্থানে সাংবাদিককে নির্যাতন, নিপিড়ন অথবা প্রাননাশের হুমকি দেয়া হচ্ছে। তাই সাংবাদিক নির্যাতন বন্ধে অবিলম্বে সরকারকে যুগোপযোগি আইন প্রণয়নের দাবী জানান।