নিউজ ডেস্ক:
যুক্তরাষ্ট্রের চেতনা আর মূল্যবোধের পরিপন্থী কর্মকান্ডে অতীষ্ঠ আমেরিকানরা বিক্ষোভে ফেটে পড়েছেন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিরুদ্ধে। সোমবার ২০ ফেব্রুয়ারি ছিল ‘প্রেসিডেন্ট ডে’, এই দিনটি উপলক্ষেও লাখো আমেরিকান রাজপথে নামেন ‘নট মাই প্রেসিডেন্ট’স ডে’ ব্যানারে।
নিউইয়র্কসহ ৪৬ সিটিতে একযোগে এ বিক্ষোভ অনুষ্ঠিত হয়। নিউইয়র্ক সিটির ম্যানহাটানে ডোনাল্ড ট্রাম্পের মালিকানাধীন ট্রাম্প টাওয়ারের সামনে প্রধান কর্মসূচিতে অংশগ্রহণকারি অনেকের হাতেই ছিল ট্রাম্পকে অভিশংসনের পোস্টার। অর্থাৎ দায়িত্ব গ্রহণের ঠিক এক মাসের মাথায়ই এই প্রেসিডেন্টের ব্যাপারে অতীষ্ঠ হয়ে উঠেছেন আমেরিকানরা। এর আগের দিন অর্থাৎ ১৯ ফেব্রুয়ারি রবিবার নিউইয়র্ক সিটির টাইমস স্কোয়ারে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের মুসলিম বিদ্বেষমূলক কর্মকান্ডের বিরুদ্ধে অভিনব আরেকটি কর্মসূচি পালিত হয় ‘টু-ডে আই এ্যাম মুসলিম টু’ (আজ আমিও মুসলমান) ব্যানারে।
সমস্বরে স্লোগান উচ্চারিত হয়, ‘এভরি ডে আই এ্যাম মুসলিম-টুডে উই আর অ্যল মুসলিমস’, ‘আই হেভ ড্রিম অব এ সেইফ ওয়ার্ল্ড ফর ডাইভার্সিটি’, ‘স্প্রেড লাভ ইটস দ্য মুসলিম ডে’ ইত্যাদি।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ঘোষিত এ কর্মসূচিতে সকল ধর্ম-বর্ণ আর জাতিগোষ্ঠির আমেরিকানরা জড়ো হয়ে মুসলমানদের সাথে সংহতি প্রকাশ করে দৃপ্ত প্রত্যয়ে উচ্চারণ করেন, ‘এ দেশ হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান-জুইশ-মুসলমানের। আমরা সকলেই এদেশকে ভালোবাসি। কেউ আমাদের তাড়াতে পারবে না। ’ এমন সংকল্প ব্যক্ত করা হয় গান আর জ্বালাময়ী বক্তব্যে।
এ সমাবেশের সাথে সংহতি প্রকাশ করতে এসেছিলেন সাবেক প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিন্টনের কন্যা চেলসী ক্লিন্টন। সাথে ছিল দুই বছর বয়েসী কন্যা শার্লটি।
এ সমাবেশ-মঞ্চের পাশেই দাঁড়িয়ে সাম্প্রতিক সময়ে ট্রাম্প-বিরোধী আন্দোলনের প্রতীকে পরিণত ‘উই দ্য পিপল’ পোস্টারের বিখ্যাত ছবি মনিরা আহমেদের মা নারগিস আহমেদ এবং বাবা মোস্তাক আহমেদ। তাদের হাতেও শোভা পাচ্ছিল সেই পোস্টার। এই কর্মসূচিতে অংশগ্রহণকারি অনেকের হাতেই ছিল পোস্টারটি। এ সময় বাংলাদেশি এই দম্পতিকে অনেকে অভিনন্দন জানান ট্রাম্প-বিদ্বেষ রুখে দেয়ার সংকল্প ব্যক্তকারীদের পাশে দেখে।
সমাবেশে অংশগ্রহণকারি নেতৃবৃন্দের মধ্যে ছিলেন বাংলাদেশি আমেরিকান ডেমক্র্যাটিক লীগের সভাপতি ও যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের নেতা খোরশেদ খন্দকার, কম্যুনিটি এ্যাক্টিভিস্ট হাসানুজ্জামান হাসান, সাইফুল ইসলাম প্রমুখ।