নিউজ ডেস্ক:
হাই প্রোফাইল সফরে যুক্তরাষ্ট্রে রয়েছেন সৌদি আরবের ডেপুটি ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমান। ট্রাম্পের সঙ্গে বৈঠকও শেষে ট্রাম্পকে ‘মুসলমানদের সত্যিকারের বন্ধু’ বলে অভিহিত করেছেন তিনি। এছাড়া ওই বৈঠককে ‘ঐতিহাসিক মুহূর্ত’ বলে দাবি করেছেন মোহাম্মদ বিন সালমানের একজন জ্যেষ্ঠ উপদেষ্টা।
ট্রাম্পের বিতর্কিত অভিবাসী নিষিদ্ধ আইনটি মুসলিমদের উদ্দেশ্য করেই করা হয়েছে বলেও বিশ্বাস করেন না এই ডেপুটি ক্রাউন প্রিন্স।
এক বিবৃতিতে বলা হয়, প্রিন্স মোহাম্মদের সফরে রাজনীতি, নিরাপত্তা ও অর্থনীতিসহ সবকিছু ‘সঠিক পথে ফিরেছে’। এর পুরোটাই হয়েছে দুদেশের সম্পর্কের গুরুত্ব অনুধাবন এবং মধ্যপ্রাচ্যের আঞ্চলিক পরিস্থিতির ওপর প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের সুস্পষ্ট ধারণা থাকায়।
এতে বলা হয়, ‘মুসলিম দেশ কিংবা ইসলাম ধর্মকে উদ্দেশ্য করে অভিবাসী নিষিদ্ধ আইন করা হয়েছে বলে সৌদি আরব বিশ্বাস করে না। যুক্তরাষ্ট্রে সন্ত্রাসীদের অনুপ্রবেশ ঠেকানোর উদ্দেশ্যেই এই সার্বভৌম সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। ‘
বিবৃতিতে দাবি করা হয়, মানবিক মূলবোধ সম্পন্ন একটি ঐশ্বরিক ধর্ম বিবেচনা করে ইসলাম ধর্মের প্রতি গভীর শ্রদ্ধাবোধ জানিয়েছেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। মোহাম্মদ বিন সালমানের এক মুখপাত্র বলেন, ইসলামের বিষয়ে ট্রাম্পের কাছ থেকে যে সুস্পষ্ট বক্তব্য শুনেছেন এবং ইতিবাচক মনোভাব দেখেছেন তাতে তিনি সন্তোষ প্রকাশ করেছেন।
তিনি আরও বলেন, ‘মুসলিম বিশ্বের সঙ্গে কাজ করার প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের অভূতপূর্ব এবং আন্তরিক অভিপ্রায় রয়েছে। এই মনোভাবের জন্য প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পকে মুসলমানদের সত্যিকারের বন্ধু হিসেবে দেখছেন প্রিন্স মোহাম্মদ। ‘
ওভাল অফিসে এই দুই নেতার বৈঠকে যুক্তরাষ্ট্রের ভাইস প্রেসিডেন্ট মাইক পেন্স, ট্রাম্পের জ্যেষ্ঠ উপদেষ্টা ও তার জামাতা জারেড কুশনার, চিফ অব স্টাফ রেইন্স প্রিবাস এবং স্ট্রাটেজিস্ট স্টিভ ব্যানন উপস্থিত ছিলেন।