হাবিবুল ইসলাম হাবিব, টেকনাফ: টেকনাফ মডেল থানার পুলিশের সাঁড়াশী অভিযানে ইউপি সদস্য ও অপর ইউপি সদস্যের স্ত্রীসহ ১৯ জনকে আটক করেছে। এসময় বিক্ষুদ্ধ জনতা ইউপি সদস্যকে আটক করার প্রতিবাদ জানালে পুলিশ তাদের ছত্রভঙ্গ করতে ৬০ রাউন্ড ফাঁকা গুলি বর্ষন করেছে। আটক ব্যক্তিদের মধ্যে ১৩ জনকে বিভিন্ন মামলায় গতকাল দুপুরের দিকে কক্সবাজার আদালতে প্রেরন করা হয়। বাকি ৬ জনকে যাচাই-বাছাই করে এবং মোছলেকা নিয়ে ছেড়ে দেওয়া হবে বলে জানায় পুলিশ।
পুলিশ সুত্রে জানা যায়, গতকাল ২ আগষ্ট বুধবার গভীর রাতে টেকনাফ হ্নীলা ইউনিয়নের বেশ কয়েকটি এলাকায় পুলিশ ইয়াবা বিরোধী সাঁড়াশী অভিযান পরিচালনা করে। এই অভিযানে হ্নীলা ইউনিয়নের ৪ নং ওয়ার্ডের বর্তমান ইউপি সদস্য ও আওয়ামীলীগ সভাপতি এবং দলিল লেখক হোছাইন আহমদ, তার ছোট ভাই ইসলামী আন্দোলনের নেতা হাফেজ আলী আহাম্মদকে আটক করা হয়। এছাড়া অপর একটি অভিযানে হ্নীলা ৩নং ওয়ার্ডের বর্তমান ইউপি সদস্য ইয়াবা ব্যবসায়ী শামশুল আলম বাবুলের স্ত্রী ছালেহা বেগম, হ্নীলা সিকদার পাড়া এলাকার মৃত কালা মিয়ার ছেলে শামশুদ্দিন, আবছার উদ্দিন, পানখালী এলাকার মৃত আহাম্মদুর রহমানের পুত্র লুৎফর রহমান সুমন, ইউছুপ আলীর পুত্র শামশুল আলম, হোয়াইক্যং ইউনিয়ন খারাংখালী নাছর পাড়া এলাকার মৃত সোলেমানের দুই পুত্র নবী হোসেন ও সিরাজ মিয়া, কাঁটা খালীর খাইরুল বাশারসহ ১৯ জন ব্যক্তিকে আটক করে।
এব্যাপারে টেকনাফ মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ভারপ্রাপ্ত ওসি) ও তদন্ত শেখ আশরাফুজ্জান বলেন, টেকনাফ মডেল থানার ইয়াবা বিরোধী অভিযানে আটক ১৯ জনের মধ্যে ১৩ জনকে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে। বাকি ৬ জনকে যাচাই-বাছাই করে এবং মোছলেকা নিয়ে ছেড়ে দেওয়া হবে। তিনি আরো বলেন, হ্নীলা ইউনিয়নের শামশুল আলম বাবুল মেম্বারের স্ত্রী ছালেহা বেগমের কাছ থেকে ১০ হাজার ইয়াবা, মৌলভী হাফেজ আলী আহাম্মদের কাছ থেকে ৫ হাজার ইয়াবা, শামশুদ্দিনের কাছ থেকে ৩ হাজার, আবছার উদ্দিনের কাছ থেকে ২ হাজার, নবী হোসেন ও সিরাজ মিয়ার কাছ থেকে ২ হাজার ১০০ পিস ইয়াবা, খাইরুল বাশারের কাছ থেকে ১ হাজার ৮০০ পিস ইয়াবা উদ্ধার করেছেন। এবং পুলিশের কাজে বাধা দেওয়ায় ইউপি সদস্য হোছাইন আহাম্মদসহ একই এলাকার লুৎফর রহমান ও শামশুল আলমের বিরুদ্ধে মামলার রুজু করে তাদের আদালতে প্রেরন করেছে পুলিশ।
এদিকে স্থানীয়দের কাছ থেকে আরো জানা যায়, ইউপি সদস্য হোছাইন আহমদকে পুলিশ আটক করলে ওই ওয়ার্ডের বিক্ষুব্ধ জনতা জড়ো হয়ে বিক্ষোভ করে। এসময় পুলিশ ৬০/৭০ রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছুঁড়ে। তবে পুলিশ বলছে ১৫/২০ রাউন্ড ফাঁকা গুলি বর্ষন করা হয়েছে।