হাবিবুল ইসলাম, টেকনাফ: টেকনাফে মালয়েশিয়া যাওয়ার প্রস্তুতিকালে দুই দালালসহ ১৯ জন মালয়েশিয়া গামীকে আটক করেছে মডেল থানার পুলিশ। আটককৃত মালয়েশিয়াগামীদের মধ্যে ৫ নারীসহ ১৭ জন মিয়ানমার নাগরিক।
গতকাল ৯ মে মঙ্গলবার ভোর রাত সাড়ে ৪ টার দিকে টেকনাফ সদর ইউনিয়নের হাতিয়ারঘোনা এলাকা থেকে টেকনাফ মডেল থানান ওসি তদন্ত শেখ আশরাফুজ্জামানের নেতৃত্বে একদল পুলিশ গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সাগরপথে মালয়েশিয়া যাওয়ার প্রস্তুতিকালে দুই দালালকে আটক করে। এরা হচ্ছে মিয়ানমার ঝিমংখালী মরিক্ষং এলাকার নুর হোসেনের পুত্র জামাল (২২), গোলাকার পুত্র জুবাইর (১৯), খুইল্যা মিয়ার পুত্র মো. ইলিয়াছ (১৯), নুর ছালামের পুত্র মো. রফিক (১৯), লাল মিয়ার পুত্র মো. ইদ্রিস (১৯),আবুল কালামের পুত্র মোঃ সালাম (১৯), সিকান্দরের পুত্র মোঃ সেলিম (১৯),আবদুল শুক্কুরের পুত্র মোঃ আয়ুব (২০),জাফর আহমদের পুত্র মো. ইউনুছ (১৯), সোনালীর পুত্র জোবাইরুল ইসলাম (১৯), নুর আলমের পুত্র জাহেদ হোসন (১৯) কাশিম আলীর পুত্র আবদুল হক (৪০), ছৈয়দুল আমিনের স্ত্রী আছিয়া বেগম (১৯),আবদুল হকের মেয়ে ছমিরা আক্তার (১৯), ঈমান হোসেনের স্ত্রী রফিকা আক্তার (২৫) বলি বাজার এলাকার জলিলের পুত্র মো. রফিক (২০), নুর হোসেনের স্ত্রী আজিজা বেগম (১৯)। তাদের সাথে দুই দালাল আটক করা হয়েছে। এরা হচ্ছে টেকনাফ সদর ইউনিয়নের হাতিয়ার ঘোনার মোক্তার আহমদের পুত্র মো. খলিল প্রকাশ ইসমাইল (৩৬), মে.ঃ তৈয়বের স্ত্রী বুলবুলি (৩৫)।
টেকনাফ মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. মাঈন উদ্দীন খাঁন জানান, অবৈধভাবে সাগরপথে মালয়েশিয়ায় যাওয়ার উদ্দেশ্যে টেকনাফ সদর ইউনিয়নের মো. তৈয়ব এর স্ত্রী বুলবুলির বাড়িতে মালয়েশিয়াগামী মিয়ানমার নাগরিকরা অবস্থান করার সংবাদ পেয়ে অভিযান পরিচালনা করা হয়। মালয়েশিয়াগামীদের শিকারোক্তিমতে হাতিয়ার ঘোনার মোক্তার আহমদের পুত্র আবুল হোসন (৪২), শামশুর স্ত্রী ফাতেমা বেগম (২৬) কে পলাতক আসামী করে সংশ্লিষ্ট ধারায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।
এদিকে টেকনাফ উপজেলা দিয়ে দীর্ঘদিন ধরে মানবপাচার শূণ্য কোটা ছিল। হঠাৎ করে সক্রিয় হয়ে উঠেছে মানবপাচারকারী চক্র। এই খবর পেয়ে পুলিশ অভিযান পরিচালনা করেছে।