জাহিদুর রহমান তারিক, ঝিনাইদহ থেকেঃ আনজের আলীর স্বপ্ন পুরণ হলো না। গরু বিক্রি করে তিনি দায় দেনা শোধ করতে চেয়েছিলেন। কিন্তু চার বছর ধরে পোষা তার পালিত হলষ্টিন ফ্রিজিয়ান জাতের গরুটি বুধবার মারা গেছে। এই বিশাল আকৃতির গরুটির আকস্মিক মৃত্যুতে মাথায় যেন আকাশ ভেঙ্গে পড়েছে দরিদ্র আনজের আলীর। তিনি ঝিনাইদহ সদর উপজেলার হলিধানী ইউনিয়নের নাটাবাড়িয়া গ্রামের কারিকর পাড়ার মুনছুর আলী শেখের ছেলে। গরু পালক আনজের আলী জানান, ঈদুল আযহার সময় তিনি গরুটি বিক্রির জন্য ঢাকায় নিয়ে যান। সেখানে ৭ লাখ টাকা দাম ওঠে। কিন্তু তিনি এই দামে গরুটি বিক্রি না করে বাড়িতে ফিরিয়ে আনেন। ১০ লাখ টাকায় গরুটি বিক্রি করলে তার দায় দেনা পরিশোধ হতো। কৃষক আনজের আলী আরো জানান, বাড়িতে আনার পর থেকেই গরুটির শরীর ভাল যাচ্ছিলো না। এক পর্যায়ে গরুর পায়ে খুরা রোগ হয়। চিকিৎসা করালেও শখের গরুটি আর বাঁচানো সম্ভব হয়নি। বুধবার সকালে গরুটির মৃত্যু হয়। হালিধানী ইউনিয়নের মেম্বর নাটাবাড়িয়া গ্রামের মতিয়ার রহমান জানান, প্রতি বছর গরুটির পেছনে তার খরচ হয়েছে ১ লাখ ২০ হাজার টাকা। চার বছর ধরে গরুটি পালন করতে গিয়ে আনজের আলী প্রায় ৫ লাখ টাকা ব্যায় করেছেন। নিজ গ্রাম ও বিভিন্ন আত্মীয় স্বজনের কাছ থেকে তিনি প্রায় ৩ লাখ টাকা ধার করে গরু পালন করেছেন। গরুটির আকস্মিক মৃত্যুতে আনজের শেখ পথে বসেছেন বলেও মেম্বর মতিয়ার জানান। বুধবার বিকালে নাটাবাড়িয়া গ্রামে এই বিশালাকৃতির গরুটি দাফন করা হয়।