ঝিনাইদহ প্রতিনিধি: দেশের অন্যান্য স্থানের মতো খাদ্য বান্ধব কর্মসূচির আওতায় ঝিনাইদহেও মঙ্গলবার (১৩মার্চ) থেকে শুরু হয়েছে ১০ টাকা কেজি দরে চাউল বিতরণ। তবে ঝিনাইদহ জেলার সুরাট ইউনিয়নে চাউল বিতরনের সময় ডিলার এমনকি ট্যাগ অফিসার সহ তদারককারীদের কেউই ছিলেন না। আর এমন পরিস্থিতে অতি দারিদ্র মানুষের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে ৩০ কেজির বদলে ২০ থেকে ২৫ কেজি বা তারও কম চাউল। চাউল বিতরণে এমন অনিয়ম ও আতœসাতের ঘটনায় বিক্ষোভ দেখা দেয়। সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, সারিবদ্ধভাবে সকাল থেকে চাউল নিতে আসে সুরাট ইউনিয়নের হতদরিদ্র নারী পুরুষেরা। কিন্তু বিতরণে দায়িত্বে থাকা ডিলার আমিরুল ইসলাম মন্টু ও ট্যাগ অফিসার আলীমুল ইসলাম উপস্থিত না থেকে বহিরাগত দিয়ে চাউল বিতরণ করছিলেন। এ অবস্থায় ওজনে ৩০ কেজির স্থলে কয়েক কেজি করে কম থাকায় ক্ষোভের সৃষ্টি হয় চাউল নিতে আসা মানুষের মাঝে। তারা চাউল বিতরনকারীদের আটকে রেখে বিক্ষোভ করেছে। চাল নিতে আশা মিলন মোল্ল্যা বলেন, আমাদের চাল ৩০ কেজি করে দেওয়ার কথা থাকলেও দেওয়া হচ্ছে মাত্র ২৩ কেজি করে। তাহলে আমার কাছ থেকে ৭০ টাকা বাড়তি নেয়া হয়েছে। নারী ভুক্তভোগী হাসিনা খাতুন বলেন, আমাকে চাল ২২ কেজি দেয়া হয়েছে। এ অনিয়মের তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি। এলাকার মেম্বার ও ইউইনয়ন আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক খান মুকাদ্দেস জানান, খাদ্য বান্ধব কর্মসূচির আওতায় সদরের সুরাট ইউনিয়নে আজ থেকে ৩০৯ টি পরিবারের মাঝে প্রতি মাসে ১০ টাকা দরে ৩০ কেজি চাউল বিতরণের কথা। এর জন্য তাদের কাছ থেকে নিয়োগ প্রাপ্ত ডিলাররা ৩০০ টাকা জমা নেয়। তবে চাউল বিতরণে করা হচ্ছে নয় ছয় এমন অভিযোগ করেন তিনি। এক পর্যায়ে স্থানীয় নারিকেল বাড়িয়া ক্যাম্প থেকে পুলিশ এসে পরিস্থিতি সামাল দেয়। ঝিনাইদহ সদরের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও সভাপতি খাদ্য বান্ধব কর্মসূচির শাম্মী ইসলাম জানান, অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন। তিনি আরও জানান, ট্যাগ অফিসারকে শোকজ করা হয়েছে ও ডিলারের ডিলারশীপ বাতিল করার প্রক্রিয়া নেয়া হচ্ছে। ঝিানইদহ জেলার ৬ টি উপজেলার ৬৭টি ইউনিয়নে ১৩৪ জন ডিলারের মাধ্যমে ১৩শত ৭মেট্রিক টন চাউল ৪৩হাজার ৫৮৯জন উপকারভোগীদের মাঝে বিতরন করা হচ্ছে।