নিউজ ডেস্ক:
আজব দুনিয়া, আজব সব মানুষের কাজ। শ্রীলঙ্কার ক্যান্ডিতে এক বিউটিশিয়ান (৩.২ কি.মি) দুই মাইল লম্বা বিয়ের শাড়ি পরেছেন।
আর ওই দুই মাইল লম্বা শাড়ি ধরার জন্য প্রায় আড়াইশো শিক্ষার্থীকে ব্যবহার করা হয়েছে। গিনেস বুকে রেকর্ড গড়ার আশায় নাকি এমনটা করেছেন তিনি।
তবে এ ঘটনায় ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনা তৈরি হয়েছে দেশটিতে। কেন শিশুদের এ কাজে ব্যবহার করা হলো তা খতিয়ে দেখতে তদন্ত শুরু করেছে শ্রীলঙ্কার শিশু সুরক্ষা কর্তৃপক্ষ।
শহরের একটি প্রাইমারি স্কুলের আড়াইশোরো বেশি শিক্ষার্থী বৃহস্পতিবার ক্যান্ডি রোডের পাশে দাঁড়িয়েছিল, দুই মাইল লম্বা বিয়ের শাড়ি ধরার জন্যই শিশুরা রাস্তার ধারে দাঁড় করানো হয়েছিল।
ওই শাড়ি পরিহিত বিউটিশিয়ান দাবি করছেন এটিই বিশ্বে সবচেয়ে লম্বা বিয়ের শাড়ি। তিনি মনে করছেন এই বিয়ের শাড়ি গিনেস ওয়ার্ল্ড বুকে জায়গা করে নেবে।
কেন্দ্রীয় প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী সারাথ একনায়েকের পৃষ্ঠপোষকতায় ক্যান্ডির রাস্তাতেই ওই শাড়ি প্রদর্শনের আয়োজনটি করা হয়।
সূর্যের তাপে রাস্তার ধারে দাঁড়িয়ে ঘন্টার পর ঘন্টা শিশুরা দাঁড়িয়েছিল, কোন মানবিকতায়, কী ভেবে স্কুলের শিশুদের এ কাজে ব্যবহার করা হলো তা নিয়ে প্রশ্ন তুলছে এডুকেশন ইউনিয়নগুলো, ব্যাপক বিতর্কও তৈরি হয়েছে। তিন মাইল লম্বা ওই শাড়ি প্রদর্শনের আয়োজনটি নিয়ে ব্যাপক সমালোচনা চলছে সোশ্যাল মিডিয়ায়।