খুলনা প্রতিনিধি : দুর্ঘটনা এড়াতে, জাহাজজট নিরসন এবং মালামাল দ্রত খালাসের লক্ষে মংলা বন্দর কর্তৃপক্ষ আটটি জেটি নির্মাণের উদ্যোগ নিচ্ছে। এছাড়া জাহাজ চলাচলের সুবিধার্থে নাব্যতার জন্য পশুর নদীতে ক্যাপিটাল ড্রেজিং’র কাজও শুরু হবে।
বৃহস্পতিবার সকাল ১০টায় হোটেল টাইগার গার্ডেনে ‘এলডিসি ভূক্ত দেশ হতে বাংলাদেশের উত্তোরণ : মংলা বন্দরের অর্জিত সাফল্য, চলমান কার্যক্রম ও ভবিষ্যত পরিকল্পনা’ শীর্ষক সেমিনারে এতথ্য প্রকাশ করা হয়। মংলা বন্দর কর্তৃপক্ষ এ সেমিনারের আয়োজক।
প্রধান অতিথি ছিলেন সাবেক ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী তালুকদার আব্দুল খালেক এমপি। সভাপতিত্ব করেন বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান কমোডর একেএম ফারুক হাসান। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব আবদুছ ছাত্তার শেখ এবং উপস্থাপিত প্রবন্ধের ওপর পর্যালোচনামূলক আলোচনা করেন কুয়েটের প্রফেসর ড. মো. হারুনুর রশীদ এবং প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বন্দর কর্তৃপক্ষের সদস্য (হা. ও মে.) মোঃ আব্দুল বাতেন মিঞা, পরিকল্পনা প্রধান জহিরুল ইসলাম।
মুক্ত আলোচনায় অংশ নেন খুলনা প্রেস ক্লাবের সভাপতি ফারুক আহমেদ, নৌ পরিবহন মালিক গ্রæপের মহাসচিব ওয়াহিদুজ্জামান খান পল্টু, কাস্টমস কমিশনার সুরেশ চন্দ্র বিশ্বাস, জুটমিল মালিক এ্যাসোসিয়েশনের সহ-সভাপতি শেখ আকরাম হোসেন, শিপিং এজেন্ট এ্যাসোসিয়েশনের সাধারন সম্পাদক ক্যাপ্টেন মোঃ রফিকুল ইসলাম, মোংলা বন্দর ব্যবহারকারি মোঃ ইমরুল মাহজাবিন, বন্দর ব্যবহারকারী হেমায়েত উদ্দিন, মোঃ দাউদ আলী ও এইচ এম দুলাল।
সেমিনারে প্রধান অতিথি বলেন, দেশের উৎপাদিত পাটজাতদ্রব্যের মধ্যে ৮৭ শতাংশ মংলা বন্দর দিয়ে রপ্তানি হচ্ছে। ৬২৩টি বৈদেশিক জাহাজ ৭৫ লাখ মেট্টিক টন পণ্য খালাস করে। বছরে ২২৬ কোটি টাকার অধিক রাজস্ব অর্জিত হয়। মংলায় বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল স্থাপিত হওয়ায় অদূর ভবিষ্যতে নতুন নতুন পণ্য আমদানির দ্বার উন্মোচিত হবে। এছাড়া ভারত-নেপাল-ভূটানের ট্রানজিট সুবিধা চালু হলে বন্দর ব্যবহার আরও বৃদ্ধি পাবে।