নিউজ ডেস্ক:
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (জবি) শাখা ছাত্রলীগের সম্মেলন হবে আগামী ৩০ মার্চ। ২০০৫ সালে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় হওয়ার পর এটাই হবে শাখা ছাত্রলীগের প্রথম সম্মেলন।জবি ছাত্রলীগের সম্মেলন উপলক্ষে নেতা-কর্মীদের মধ্যে উৎসবের আমেজ বিরাজ করছে। নতুন কমিটিতে পদ পেতে দৌড়ঝাঁপ করছেন সংগঠনটির নেতা-কর্মীরা।
গতকাল রোববার সন্ধ্যায় সম্মেলনের কথা নিশ্চিত করেছেন ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি সাইফুর রহমান সোহাগ।সূত্র জানায়, ২০১২ সালের ৩ অক্টোবর এফ এম শরিফুল ইসলামকে সভাপতি এবং এস এম সিরাজুল ইসলামকে সাধারণ সম্পাদক করে এক বছরের জন্য কমিটি করা হয়। এ কমিটি প্রায় সাড়ে চার বছর পার করলেও বিভিন্ন কারণে নতুন কমিটি দিতে পারেনি কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ।
গত বছরের ৬ সেপ্টেম্বর জবি ছাত্রলীগের সম্মেলনের তারিখ নির্ধারণ করেছিল কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ। কিন্তু বিশেষ কারণ দেখিয়ে পরে তা স্থগিত করা হয়। নানা জল্পনা-কল্পনা শেষে আগামী ৩০ মার্চ বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞান অনুষদ চত্ত্বরে হতে যাচ্ছে জবি ছাত্রলীগের প্রথম সম্মেলন। এতে প্রধান অতিথি থাকবেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও ছাত্রলীগের প্রাক্তন সভাপতি ওবায়দুল কাদের। সম্মেলনের উদ্বোধন করবেন ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি সাইফুর রহমান সোহাগ। প্রধান বক্তা হিসেবে থাকবেন সাধারণ সম্পাদক জাকির হোসাইন।
সম্মেলন সফল করার লক্ষ্যে ১৩ মার্চ বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মিলনায়তনে প্রস্তুতি সভার আয়োজন করেছে জবি ছাত্রলীগ।
এ বিষয়ে জবি ছাত্রলীগের সভাপতি এফ এম শরিফুল ইসলাম বলেন, পুরান ঢাকার ঐতিহ্যের আলোকে সম্মেলনস্থলের সাজসজ্জা করা হবে। জাকজমকপূর্ণ এ সম্মেলন উৎসবে পরিণত হবে।
এ বিষয়ে শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক এস এম সিরাজুল ইসলাম বলেন, ‘যোগ্য নেতৃত্বের হাতে জবি ছাত্রলীগের দায়িত্ব তুলে দিয়ে আমরা বিদায় নেব। জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগে প্রথমবারের মতো সম্মেলন হচ্ছে।
এ আয়োজন সফল করার জন্য নেতা-কর্মীদের আহ্বান জানান তিনি।
এদিকে নতুন কমিটিতে পদ পেতে ছাত্রলীগের প্রাক্তন ও বর্তমান নেতাদের কাছে এবং আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতাদের কাছে তদবির করছেন পদপ্রত্যাশী নেতা-কর্মীরা। বিভিন্ন নেতাদের বাসাতেও নিয়মিত যাচ্ছেন পদপ্রত্যাশীরা।
এ বিষয়ে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সভাপতি সাইফুর রহমান সোহাগ বলেন, ‘লবিং-তদবির করে কোনো লাভ হবে না। নিয়মিত ছাত্র, ত্যাগী ও পরিশ্রমী কর্মীদেরকে নেতৃত্বে আনা হবে। যাদেরকে শৃঙ্খলাভঙ্গের দায়ে বিভিন্ন সময় বহিষ্কার করা হয়েছে এবং যাদের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি, মাদকাসক্তিসহ অন্য অপরাধে মামলা বা সাধারণ ডায়েরি (জিডি) আছে তাদেরকে নতুন কমিটিতে স্থান দেওয়া হবে না।
কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক জাকির হোসাইন বলেন, ‘যাদের বয়স ২৯ বছরের কম এবং যারা নিয়মিত ছাত্র তারাই নতুন কমিটিতে স্থান পাবেন। ক্লিন ইমেজের কর্মীরাই নেতৃত্বে আসবেন। অনিয়মিত ছাত্র এবং অভিযুক্তরা স্থান পাবেন না।