নিউজ ডেস্ক:
বরিশাল জেলা ছাত্রদলের ৬ যুগ্ম আহ্বায়ক ছাত্র রাজনীতি থেকে স্বেচ্ছায় বিদায় নেয়ার ঘোষণা দিয়েছেন। রবিবার সকালে নগরীর সদর রোডের দলীয় কার্যালয়ের সামনে জেলা ও মহানগর ছাত্রদলের একাংশ আয়োজিত প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীর অনুষ্ঠানে ৬ ছাত্রদল নেতা ছাত্র রাজনীতি না করার ঘোষণা দেন। তবে জেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক মাসুদ হাসান মামুন বলেছেন, জেলার ৬ যুগ্ম আহ্বায়কের ছাত্রদল থেকে বিদায় নেওয়ার বিষয়ে তিনি কিছু জানেন না।
ওই ছয়জন হলেন, জেলা ছাত্রদলের সিনিয়র যুগ্ন আহ্বায়ক এএইচএম তছলিম উদ্দিন, হাফিজ উদ্দিন আহমেদ বাবলু, আমিনুল ইসলাম লিপন, জাহিদুল ইসলাম সমীর, আ.ফ.ম শামসুদ্দোহা আজাদ এবং জাবের আবদুল্লাহ সাদী।
দীর্ঘদিন ধরে বহু ভাগে বিভক্ত বরিশাল জেলা ও মহানগর ছাত্রদল এদিন পৃথক দুটি অনুষ্ঠানের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালন করে। জেলা ও মহানগরের একাধিক যুগ্ন আহ্বায়কের নেতৃত্বে সকালে দলীয় কার্যালয়ে প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীর কেক কাটা হয়। ওই অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন দক্ষিণ জেলা বিএনপির সভাপতি এবায়েদুল হক চাঁন।
অন্যদিকে জেলা ও মহানগরের আহ্বায়কের নেতৃত্বে এদিন বিকেলে নগরীর অশ্বিনী কুমার হলে প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীর অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন বিএনপি কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ন মহাসচিব ও বরিশাল মহানগর সভাপতি অ্যাডভোকেট মজিবর রহমান সরোয়ার।
সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক এএইচএম তসলিম উদ্দিন বলেন, তিনি সহ জেলার ৬ যুগ্ন আহ্বায়ক সকালে প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীর অনুষ্ঠানে ছাত্রদলের রাজনীতিতে সম্পৃক্ত না থাকার ঘোষণা দিয়েছেন। ছাত্রদলের নতুন নেতৃত্ব সৃষ্টির সুযোগ করে দেয়ার জন্য তারা এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীতে পৃথক অনুষ্ঠান করা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, তাদের সঙ্গে জেলা আহ্বায়ক মাসুদ হাসান মামুনের দীর্ঘদিন ধরে মতবিরোধ থাকায় তারা আলাদাভাবে কর্মসূচি পালন করেছেন।
অন্যদিকে জেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক মাসুদ হাসান মামুন বলেন, সকালে কারা প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালন করেছেন, সেখানে কারা সংগঠন থেকে বিদায় নিয়েছেন এ বিষয়ে তাকে কেউ কিছু জানায়নি। তার নেতৃত্বে বিকেলে প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালিত হয়।
ছাত্রদলের একাধিক দায়িত্বশীল সূত্র জানায়, ২০১১ সালের ১৬ ফেব্রুয়ারি জেলা ও মহানগর ছাত্রদলের আহ্বায়ক কমিটি গঠন করা হয়। উভয় কমিটির ১৭ জন করে যুগ্ন আহ্বায়কদের মধ্যে একাধিক গ্রুপের সৃষ্টি হওয়ায় গত ৬ বছরে পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন করা যায়নি। গত ৬ বছরেও আহ্বায়ক এবং যুগ্ন আহ্বায়করা একসঙ্গে বসতে পারেননি। গঠন করতে পারেননি উপজেলা এবং ওয়ার্ড কমিটিগুলো।