৬৬০ বোতল ফেন্সিডিলসসহ এ্যাম্বুলেন্স আটক : চালক পলাতক
নিউজ ডেস্ক: নগর জীবনের জীবনতরী যেন এ্যাম্বুলেন্স। মুমূর্ষু মানুষকে দ্রুত চিকিৎসা কেন্দ্রে নিয়ে যেতে ব্যবহার করা হয় এই যানটি। কোন কোন এ্যাম্বুলেন্সে পাওয়া যায় লাইফ সাপোর্ট সেবা। মানবিক বিবেচনায় হরতাল কিংবা পুলিশ চেকপোস্ট কোথাও বাধা পেতে হয় না এই যানে। যানজটের নগরীতে জীবন বাঁচানোর তাগিদে উল্টো পথে চলার রীতিও আছে এই চলন্ত হাসপাতালের। ফলে যে কোন আহত কিংবা অসুস্থ মানুষের জন্য এ্যাম্বুলেন্স খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তবে এ্যাম্বুলেন্সের এই সুযোগের অপব্যবহার করতে শুরু করেছে মাদক ও চোরাকারবারীরা। যে এ্যাম্বুলেন্সে মুমূর্ষু রোগী বহন করার কথা সেখানে পাওয়া গেল ৬৬০ বোতল ফেন্সিডিল। এমনই এক ঘটনার সাক্ষী হয়েছে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতাল সংলগ্ন নিয়াময় নার্সিং হোমের একটি এ্যাম্বুলেন্সের।
এ সময় এ্যাম্বুলেন্স চালক রাশেদ ও হেল্পার পালিয়ে যায়। গত সোমবার দিনগত রাতে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতাল থেকে মুমূর্ষু অবস্থায় এক রোগীকে ঢাকার উদ্দেশ্যে নেই নিরাময় নার্সিং হোমের একটি এ্যাম্বুলেন্স। গতকাল মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে গাবতলি গরুর হাট পৌঁছালে অভিযান চালিয়ে গাবতলী ফাঁড়ি পুলিশ ফেন্সিডিলসহ এ্যাম্বুলেন্সটি জব্দ করে। এসময় চালক রাশেদ ও হেলপার পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় ঢাকা দারুস সালাম থানায় একটি মামলা দায়ের হয়েছে।
দারুস সালাম থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সেলিমুজ্জামান ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে গতকাল মঙ্গলবার গাবতলি গরুর হাট থেকে একটি এ্যাম্বুলেন্সে (চুয়াডাঙ্গা- ছ-৭১০০০৪) তল্লাশি করে ৬৬০ বোতল ফেন্সিডিলসহ এ্যাম্বুলেন্সটি জব্দ করে গাবতলী ফাঁড়ি পুলিশ। এসময় চালক ও হেলপার পালিয়ে যায়। পরে ফেন্সিডিলসহ এ্যাম্বুলেন্সটি আটক করে দারুস সালাম থানায় নেয়া হয়। পরে পুলিশ বাদি হয়ে দারুস সালাম থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে একটি মামলা দায়ের করা হয়। যার মামলা নং-২৫ তাং- ১৬/১০/১৮।
এদিকে এ্যাম্বুলেন্স মালিক নিরাময় নার্সিং হোমের সত্ত্বাধিকারী সাইদুর রহমানের কাছে জানতে চাইলে তিনি ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেন। এদিকে পলাতক এ্যাম্বুলেন্স চালক রাশেদ চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতাল এলাকার বাসিন্দা বলে সূত্রে জানা গেছে।