নিজস্ব প্রতিবেদক:
চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার নেহালপুর ইউনিয়নের ডিহি-কৃষ্ণপুর গাবতলাপাড়ার আলিফ (৩) নামে এক শিশু পুকুরের পানিতে ডুবে মারা গেছে। মঙ্গলবার (১৭ ডিসেম্বর) বেলা ১টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। নিহত আলিফ ওই গ্রামের মোহাম্মদ হাসানের ছোট ছেলে।
জানা গেছে, মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১২টার দিকে শিশু আলিফের মা রুপালী খাতুন বাড়ির মধ্যে গরুর গা ধোয়াচ্ছিলেন। এ সময় শিশু আলিফ তার মায়ের কাছে ছুটে আসে। ওই সময় রুপালী খাতুন গায়ে পানি পড়বে বলে আলিফকে ঘরে যেতে বলেন।
এরপর সে খেলতে খেলতে মেইন গেট পার হয়ে বাড়ির সামনে পুকুরের পাড়ে চলে যায়। একপর্যায়ে পুকুরের পাড়ে ঢালু থাকায় সে পানিতে পড়ে গিয়ে আর উঠতে পারেনি। প্রায় আধাঘন্টা পর আলিফকে বাড়ির ভেতর না পেয়ে মা রুপালী খাতুন বাড়ির বাইরে খুঁজতে থাকেন।
খুঁজতে খুঁজতে তার পায়ে একটি স্যান্ডেল পুকুরের পাড়ে পড়ে থাকতে দেখেন। এরপর আরেকটি স্যান্ডেল পুকুরের পাড়ে ভাসতে দেখেন। ওই সময় রূপালী খাতুন চিৎকার দিয়ে পুকুরে নেমে আলিফকে খোঁজার এক পর্যায়ে তার মরদেহ পানিতে ডুবে থাকা অবস্থায় তুলে আনেন। সাথে সাথে পরিবারের অন্য সদস্যরা ডিহি-কৃষ্ণপুর বাজারে স্থানীয় ডাক্তারের কাছে নিলে আলিফ মারা গেছেন বলে তিনি জানান।
বেলা ২টার দিকে পরিবারের সদস্যরা তাকে আবার চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে নিয়ে আসে। হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক শাপলা খাতুন আলিফকে পরীক্ষা-নীরিক্ষা শেষে মৃত ঘোষণা করেন।
নিহত আলিফের ফুপ্পা একই গ্রামের কালাম জানান, আলিফের পিতা মোহাম্মদ হাসান আনসার ভিপিতে চাকরি করেন। বর্তমানে তিনি বাগেরহাটে কর্মরত। সংসার জীবনে তাদের দুটি সন্তান রয়েছে। বড় ছেলে রোহানের বয়স ৭ বছর। আর ছোট ছেলে আলিফের বয়স ৩ বছর।
নেহালপুর ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ডের সাবেক ইউপি সদস্য (মেম্বার) জিল্লুর রহমান জুলমত জানান, পানিতে পড়ে আলিফ নামে ৩ বছর বয়সী এক শিশু মারা গেছে বলে শুনেছি। তাদের বাড়ির সামনে পুকুরের পানিতে ডুবে সে মারা গেছে।
চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক শাপলা খাতুন জানান, বেলা ২টার দিকে আলিফ নামের ওই শিশুকে হাসপাতালে তার পরিবারের সদস্যরা নিয়ে আসেন। পরীক্ষা নিরীক্ষা শেষে তাকে মৃত ঘোষণা করা হয়েছে। আসলে হাসপাতালে আনার অনেক আগেই শিশুটি মারা গেছে।