নিরাপদ প্রজননের লক্ষ্যে শনিবার (১২ অক্টোবর) মধ্যরাত থেকে ইলিশ ধরা ও বিক্রিতে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে। অথচ এদিনও চুয়াডাঙ্গার ইলিশের বাজার ছিল চড়া। একটুও কমেনি দামের উত্তাপ। এদিন ছোট আকারের ইলিশ মাছ কেজিতে ১০০ টাকা পর্যন্ত বাড়তি। আর বড় ইলিশের দামের কাছে যাওয়া যায়নি। গতকাল শনিবার চুয়াডাঙ্গা কয়েকটি ইলিশ বাজার ঘুরে এই দামের চিত্র দেখা গেছে।
জানা গেছে, ইলিশ প্রজনন মৌসুম হওয়ায় আজ থেকে তিন নভেম্বর পর্যন্ত ইলিশ ধরা ও বেচাকেনা বন্ধ থাকবে। এরপর সামনে ৪ নভেম্বর থেকে আবার ইলিশ মৌসুম শুরু। এই মৌসুম শুরুর আগে যদি কোন চাষী কিংবা জেলে এবং ব্যবসায়িরা মাছ ক্রয় বিক্রয় করে তাহলে আইনুযায়ী জেলা জরিমানা হবে। তাই গতকাল শনিবার ইলিশ কেনাবেচা শেষ হয়েছে। কিন্তু শেষ দিনেও ইলিশের বাজারে ছিল ক্রেতাদের উপচে পড়া ভিড়। আগ্রহ নিয়ে দাম জিজ্ঞেস করার পর হতাশ হতে হয়েছে তাদের।
সব প্রকার ছোট সাইজের ইলিশ কেজিতে ১০০ টাকা বাড়তি। আর বড় সব ধরনের ইলিশে ১ হাজার ৫০০ টাকা থেকে ২ হাজার টাকা পর্যন্ত ইলিশ বিক্রি হতে দেখা গেছে। সকাল ও বিকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত ইলিশ বেচাকেনা ছিল প্রচুর। দামটাও ছিল আকাশ সমান। শেষ দিনের ইলিশ মাছে দাম বাড়তি হওয়াতে ক্রেতাদের মনে ছিল ক্ষোভ।
ব্যবসায়িরা জানান, দেশের বরিশাল, চট্টগ্রাম, চাঁদপুর, পটুয়াখালি ও ভোলা জেলা থেকে চুয়াডাঙ্গার বাজারে আসে ইলিশ। সবধরনের ইলিশে আকার ভেদে দাম বেশি। ছোট আকারের গোটকা ইলিশ ৫০০ থেকে ৭০০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। মাঝারি সাইজের ইলিশের দাম ১ হাজার ৫০০ আর সব থেকে বড় ইলিশ ২ হাজার টাকা। শেষ বাজার তাই ইলিশের চাহিদা যেমন দামও বেশি। ২২ দিন ইলিশ মাছ ধরা ও ক্রয় বিক্রয় বন্ধ থাকবে এই জন্য দামটা বেশি। চুয়াডাঙ্গা শহরের বড় বাজার ও কোর্ট মোড় এই বাজার ইলিসের চাহিদা বেশি তাই ক্রেতাও বেশি। বিকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত ক্রেতাদের লাইন নিতে হয়েছে মাছ কিনতে।ইলিশ কিনতে আসা এক ক্রেতা শিমুল হোসেন বলেন, ইলিশের শেষ বাজার। তাই ব্যাগ ভর্তি ইলিশ কিনলাম। এক সপ্তাহে আগে যে ইলিশ নিতো ৫০০ টাকা সেই সাইজের ইলিশ ৭০০ টাকা কেজি। শেষ বাজার তাই দাম বৃদ্ধি অনেক। ইলিশ মাছের সব ব্যবসায়িরা মাছের দাম বেশি নিয়েছে। শেষ দিনে ইলিশের দাম নাগালের বাইরে।
আরেক ক্রেতা সাকিবুল ইসলাম বলেন, মাছের শেষ বাজার তাই শহরের কোর্ট মোড়ে আসলাম ইলিশ মাছ কিনতে। কিন্তু মাছের যে দাম। মাছের ব্যাগ নিয়ে ঘুরে বেড়াছি। সব প্রকার মাছের দাম বেশি। বিক্রেতারা বলছে শেষ মুর্হুতে তাই দাম বাড়তি নিচ্ছে।