জানা গেছে, কোটা সংস্কারের দাবিতে রাজপথে নেমেছিল সাধারণ শিক্ষার্থীরা। পরিস্থিতি বিবেচনায় সারাদেশে কারফিউ জারি করা হয়। এর প্রেক্ষিতে গত ২০ জুলাই থেকে ৩১ জুলাই পর্যন্ত টানা ১১ দিন বন্ধ রাখা হয় সারাদেশের ট্রেন চলাচল। এরপর গতকাল বৃহস্পতিবার থেকে স্বল্প দূরত্বের ট্রেন চলাচল করতে দেখা গেছে। চুয়াডাঙ্গার রেলওয়ে স্টেশনে ওপর দিয়ে চলাচল করেছে সারাদিনে মাত্র দুটি যাত্রীবাহী ট্রেন ও বিশেষ প্রহরায় একটি মালবাহী ট্রেন। ট্রেন চলাচল করা শুরু হলেও চুয়াডাঙ্গা ট্রেনের টিকিট সংগ্রহ করতে হয়েছে ট্রেনের মধ্যে থেকে।
চুয়াডাঙ্গা রেলওয়ে স্টেশনে গিয়ে দেখা যায়, স্টেশনের ২ নম্বর প্লাটফর্মে প্রবেশ মুখে বসে ছিলেন বয়োবৃদ্ধ ফাহিমা খাতুন। তিনি সকাল ৬ টা থেকে ট্রেনের অপেক্ষা বসে ছিলেন খুলনায় যাবেন বলে। অপেক্ষার পর সেই ট্রেন আসে ১২টা ৪৫ মিনিটে।
চাঁপাইনবাবগঞ্জের রহমনপুর স্টেশন থেকে ছেড়ে আসা মহানন্দা এক্সপ্রেস চুয়াডাঙ্গা স্টেশনে এসে থামলে ওই ট্রেনে ওঠেন ফাহিমা খাতুন। ট্রেনে যাত্রী ওঠানামা বিরতির পর আবার যাত্রা শুরু করে চুয়াডাঙ্গা স্টেশন থেকে ছেড়ে যায় খুলনার উদ্দেশ্যে। এরপর আবার খুলনা থেকে ছেড়ে আসা চুয়াডাঙ্গা স্টেশনে যাত্রা বিরতি দিয়ে চাঁপাইনবাবগঞ্জের দিকে ছেড়ে যায় মহানন্দা ট্রেনটি। এভাবে গতকাল দুটি মহানন্দা এক্সপ্রেস আপ ও ডাউন চলাচল করতে দেখা গেছে। এরপর একটা বিশেষ প্রহরায় চলাচল করেছে মালবাহী ট্রেন। তবে প্রথম দিনে স্টেশনে যাত্রীদের সেই চিরচেনা উপস্থিতি লক্ষ্য করা যায়নি। আবার স্টেশনের টিকিট কাউন্টারগুলো বন্ধ থাকায় ভিড় ছিল না একেবারেই। যাত্রীরা ট্রেনের মধ্যে থেকে টিকিট সংগ্রহ করেছেন। তবে ট্রেন চলাচল শুরু হওয়ায় সাধারন মানুষের মধ্যে প্রাণচাঞ্চল্য ফিরতে দেখা গেছে।
এক যাত্রী রকিবুল ইসলাম বলেন, প্রথমদিনে ট্রেন চলাচল করছে তো, তাই যাত্রী কম। টিকিট সংগ্রহ করতে হইলো ট্রেনের মধ্যে থেকে। আর স্টেশনে সেই রকম মানুষের আনাগোনা কম। আস্তে আস্তে হয়তো এখন ট্রেনের যাত্রী বাড়বে। আর স্টেশনে ভিড়ও বাড়বে। স্বাভাবিক ভাবে ট্রেন চলাচল চালু হওয়াতে খুব ভালো লাগছে।
এ বিষয়ে চুয়াডাঙ্গা স্টেশন মাস্টার মিজানুর রহমান বলেন, স্বাভাবিকভাবে ট্রেন চলাচল শুরু হয়েছে। আপাতত দুটি ট্রেন চলবে। আর বাকি ট্রেনগুলো ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের আদেশ মোতাবেক চলাচল শুরু করবে। ট্রেন চলাচলের প্রথমদিনে স্টেশনে যাত্রী তুলনামুলক কম ছিল।