নিউজ ডেস্ক:
চীনের অন্যতম বৃহৎ বিদ্যুৎ প্রকৌশল কোম্পানি এনইপিসি আরো বিদ্যুৎ কেন্দ্রের পাশাপাশি বিদ্যুৎ উৎপাদন মেশিনারিজ ও সরঞ্জাম আমদানির মাধ্যমে বাংলাদেশের মার্কেটে প্রবেশের জন্য দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা নিয়ে এখানে অফিস স্থাপন করেছে।
এনইপিসি (চায়না এনার্জি-ইঞ্জিনিয়ারিং গ্রুপ নর্থ ইস্ট নো ১ ইলেকট্রিক পাওয়ার কনস্ট্রাকশন কোম্পানি লিমিটেড) চীনের প্রথম একটি বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণকারী কোম্পানি, যেটি ঢাকায় তাদের পূর্ণাঙ্গ একটি অফিস স্থাপন করলো।
এনইপিসি কোম্পানির ঢাকার শাখা অফিসের নির্বাহী ব্যবস্থাপনা পরিচালক রয় লিও চ্যাংগিং আজ গুলশানে গ্লাস হাউসে নতুন অফিস উদ্বোধনকালে বলেন, এনইপিসি শিগগিরই এ দেশের মোট বিদ্যুৎ উৎপাদনের এক-চতুর্থাংশ তাদের প্লান্ট থেকে উৎপাদন করবে এজন্য তারা বাংলাদেশে তাদের প্রকল্পগুলোকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিচ্ছে।
এনইপিসি প্রথমবারের মতো পটুয়াখালীর পায়রা নদীর কাছে পরিবেশবান্ধব ক্লিন কয়লা প্রযুক্তিতে ১৩২০ মেগাওয়াট কয়লা ভিত্তিক তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপন করছে।
এটিকে বর্তমান সরকারের গুরুত্বপূর্ণ বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র হিসেবে উল্লেখ করে লিও বলেন, এখানে বিপুল বিদ্যুৎ চাহিদা মেটাতে ঢাকা ও বেইজিংয়ের দীর্ঘস্থায়ী বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের চেতনার অংশ হিসেবে এনইপিসি বাংলাদেশে তাদের কার্যক্রম সম্প্রসারণের পরিকল্পনা নিয়েছে এনইপিসি।
‘বাংলাদেশের জনগণ ও দেশটির অর্থনৈতিক স্বার্থে চীনের সেরা বিদ্যুৎ উৎপাদন প্রযুক্তি ও সরঞ্জাম এখানে নিয়ে আসার প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখবো’ এ কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, বাংলাদেশ সরকার এখানে এসডিআই বিষয়ে ইতিবাচক নীতি গ্রহণ করার ফলে চীনের আরো কোম্পানি এখানে কার্যক্রম পরিচালনায় আগ্রহ প্রকাশ করেছে।
পায়রা মেগা প্রকল্পের পাশাপাশি এনইপিসি আরো ৪টি বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণ করবে। এগুলো হলো- সিরাজগঞ্জে ইউনিট-২ (২২৫ মেগাওয়াট), ইউনিট-৩ (২২৫ মেগাওয়াট), ঘোড়াশাল ইউনিট-৭ (৩০০/৪৫০ মেগাওয়াট) এবং ইউনিট-৩ (৪১৬ মেগাওয়াট)।
এনইপিসি ইতোমধ্যেই তিনটি বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপন করেছে। এগুলো হলো- বিবিয়ানা ১১ (৩৪৫ মেগাওয়াট), মেঘনাঘাট (৩৩৭ মেগাওয়াট) এবং সিরাজগঞ্জ ইউনিট ১ (২২৫ মেগাওয়াট)।