নিউজ ডেস্ক:
চলতি ২০১৭-১৮ অর্থবছরের প্রথমার্ধের জন্য মুদ্রানীতি ঘোষণা করতে যাচ্ছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
বুধবার সকাল সাড়ে ১১টায় বাংলাদেশ ব্যাংকের জাহাঙ্গীর আলম কনফারেন্স হলে এই মুদ্রানীতি ঘোষণা করা হবে। ঘোষণা অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করবেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ফজলে কবির।
সূত্র জানায়, বিনিয়োগ ও উৎপাদন সহায়ক নতুন মুদ্রানীতি ঘোষণা করতে যাচ্ছে কেন্দ্রিয় ব্যাংক। একই সঙ্গে এতে গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পের বিকাশকে। মূল লক্ষ্য মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ রাখা, যাতে জিনিসপত্রের দাম না বাড়ে।
মুদ্রানীতিতে কাঙ্খিত প্রবৃদ্ধি অর্জনের লক্ষ্যে বেসরকারি খাতে ঋণ জোগান যেন বাধাগ্রস্ত না হয় সেদিকে নজর রাখা হবে। বেসরকারি খাতে এবার ঋণ জোগানের প্রাক্কলন সামান্য বাড়িয়ে ১৭ শতাংশ করা হতে পারে। ব্যাংক ঋণ খাতে প্রয়োজনীয় জোগান দেওয়ার বিষয়েও নজর দেওয়া হবে।
এছাড়া বিনিয়োগের বিষয়ে পদক্ষেপ গ্রহণ করা হচ্ছে। কারণ, ব্যাংক আমানতের সুদ হার এখন যে কোন সময়ের চেয়ে কম। এছাড়া ব্যাংকেও পর্যাপ্ত বিনিয়োগযোগ্য তহবিল রয়েছে। এ পরিস্থিতিতে আগামী মুদ্রানীতিতে উদ্যোক্তাদের বিনিয়োগমুখী করার উদ্যোগ থাকবে।
তবে, আসছে মুদ্রানীতি নিয়ে পুঁজিবাজারের বিনিয়োগকারীদের আতঙ্কিত হওয়ার কোনো কারণ নেই বলে মনে করছেন অর্থনীতিবিদরা। তারা বলেন, অন্যবারের মতো এবার সংকোচনশীল মুদ্রানীতি প্রকাশ করবে বাংলাদেশ ব্যাংক। যা পুঁজিবাজারের স্বাভাবিক উত্থানে কোনো প্রভাব ফেলবে না।
রসঙ্গত, মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ ও কাঙ্খিত প্রবৃদ্ধি অর্জনের মধ্যে ভারসাম্য রাখতে কেন্দ্রীয় ব্যাংক বছরে দুই বার মুদ্রানীতি প্রণয়ন ও প্রকাশ করে। ছয় মাস অন্তর এ মুদ্রানীতি একটি অর্থবছরের প্রথমার্ধের প্রথম মাসে অর্থাৎ জুলাইয়ে এবং অন্যটি দ্বিতীয়ার্ধের প্রথম মাসে অর্থাৎ জানুয়ারিতে প্রকাশিত হয়।