নিউজ ডেস্ক:
চর্মরোগের গবেষণায় অনুদান দিলেন হলিউডের বিখ্যাত গায়িকা ও অভিনেত্রী সেলিনা গোমেজ। লুপাস নামের একটি চর্মরোগ বারবার ভুগিয়েছে তাঁকে। এতে আক্রান্ত হয়ে নিয়েছেন কেমোথেরাপিও। দীর্ঘ রোগভোগের পর বিষণ্নতা কাটাতে গিয়েছেন পুনর্বাসন কেন্দ্রেও। সেই লুপাস নিয়ে গবেষণার জন্য এবার আর্থিক সাহায্যের হাত বাড়ালেন সেলিনা গোমেজ।
যুক্তরাষ্ট্রের সাউথ ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের স্কুল অব মেডিসিনকে লুপাস নিয়ে গবেষণা করতে মোটা অঙ্কের অর্থ অনুদান দিয়েছেন ‘গুড ফর ইউ’ খ্যাত এ সুন্দরী গায়িকা।
সেলিনা গোমেজের পক্ষ থেকে অনুদানের বিষয়টি নিশ্চিত করা হলেও এখনো পর্যন্ত অনুদানের পরিমাণ প্রকাশ করা হয়নি। সম্প্রতি এক বিবৃতিতে ২৪ বছর বয়সী এ গায়িকা বলেন, ‘লুপাস রোগের গবেষণায় যেভাবে অগ্রগতি হচ্ছে তাতে আমি আশাবাদী। হয়তো অচিরেই এ রোগ আমরা পুরোপুরি প্রতিরোধ করতে সক্ষম হব। বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণার অংশ হতে পেরে আমি গর্বিত। আশা করি, এই রোগে ভুগতে থাকা বিশ্বের লাখ লাখ মানুষ এতে উপকৃত হবে। ’ উল্লেখ্য, ২০১০ সালে লুপাসে আক্রান্ত হন সেলিনা; যদিও তখন তা গোপন রেখেছিলেন তিনি।
প্রসঙ্গত, লুপাস রোগটি সচরাচর দেখা যায় না। আকস্মিকভাবে রোগটি আক্রমণ করে জীবনযাপন দুর্বিষহ করে তোলে। লুপাস গ্রিক শব্দ, যার অর্থ নেকড়ে। লুপাস বা এসএলই (সিস্টেমিক লুপাস ইরাইথেমেটোসাস) রোগ হলে দেহের রোগ প্রতিরোধব্যবস্থা নিজের শরীরের বিভিন্ন কোষের বিরুদ্ধে কাজ করতে শুরু করে। ফলে দেহের ত্বক, গিরা, মাংসপেশি, রক্তকণিকা,¯স্নায়ু, হৃৎপিণ্ড, কিডনি—বলতে গেলে প্রায় সব অঙ্গপ্রত্যঙ্গের ক্ষতি করতে থাকে।
নানা অঙ্গে আক্রমণ করে বলে এই রোগের উপসর্গও বিচিত্র। যেমন: দেহের বিভিন্ন গিরায় ব্যথা, ত্বকে লালচে দাগ বা ফুসকুড়ি, নাকের দুপাশে-গালে প্রজাপতির ডানার মতো বিস্তৃত লাল দানা, মুখের তালুতে ঘা, চুল পড়া, জ্বর, হাত-পা ফোলা, মাথাব্যথা, খিঁচুনি, অসংলগ্ন আচরণ, রক্তশূন্যতা ও রক্তকণিকা কমে যাওয়া, পেট-বুকে পানি জমাসহ নানা ধরনের উপসর্গ দেখা দেয়।
এই রোগে যথাসময়ে সঠিক চিকিৎসা নিলে ভালো থাকা যায়। মুশকিল হলো রোগটি সহজে নির্ণয় করা যায় না। দেশের সব জায়গায় রোগ নির্ণয়ের প্রয়োজনীয় পরীক্ষা-নিরীক্ষাও হয় না।
অন্যদিকে লুপাস ফাউন্ডেশন বাংলাদেশের হিসাব মতে, দেশে ২০ হাজারের বেশি লুপাস রোগী রয়েছে। আরও অনেকে হয়তো আছে চিকিৎসার আওতার বাইরে। গিরা ব্যথা, ত্বকে দানা ইত্যাদির মতো উপসর্গ দেখা দিলে রোগ নির্ণয়ের জন্য বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের শরণাপন্ন হোন।