গতকাল রাতে লেগাসেনের বিপক্ষে খেলতে নেমে ১-০ গোলের হতাশাজনক হার নিয়ে মাঠ ছেড়েছে বার্সেলোনা। এর আগে ঠিক আগের ম্যাচে একই মাঠে লাস পালমাসের কাছে ২-১ গোলে হেরেছিলো বার্সেলোনা।
ম্যাচের ৮০ ভাগ সময় বলের দখল ছিল বার্সেলোনার। গোলের জন্য শট নিয়েছে ২০টি। প্রায় নিশ্চিত গোলের সুযোগ তৈরি করেছে অন্তত তিনটি। কিন্তু ঘরের মাঠ অলিম্পিক স্টেডিয়ামে রোববার রাতে তবু জয়ী দলটার নাম বার্সেলোনা নয়, লেগানেস। ম্যাচের চতুর্থ মিনিটেই সের্হিও গনসালেসের গোলে এগিয়ে যাওয়া লেগাসেন বাকি পুরোটা ম্যাচ সেই ব্যবধান রক্ষা করেছে জানপ্রাণ দিয়ে। একের পর এক আক্রমণ করেও তাই লাভ হয়নি বার্সেলোনার। ১-০ গোলেই হেরেছে হান্সি ফ্লিকের দল। অসাধারণ এক জয়ে আপাতত অবনমন অঞ্চল থেকে বাইরে চলে এলো লেগানেস।
ম্যাচের মাত্র ৪ মিনিটের সময় বার্সাকে চমকে দেয় লেগানেস। অতিথি দলের উইঙ্গার মুনির এল হাদ্দাদির শট বার্সা গোলরক্ষক ইনাকি পেনার গায়ে লেগে পোস্ট ঘেঁষে বেরিয়ে যায়। কর্নার পায় লেগানেস। সেই কর্নার থেকেই ফাঁকায় বল পেয়ে যান সের্হিও গনসালেস। তাঁর হেড চলে যায় বার্সার জালে।
১০ মিনিটের সময়ই রাফিনিয়ার ক্রস থেকে রবার্ট লেভানডফস্কির শট দারুণভাবে ঠেকিয়ে দেন লেগানেস গোলরক্ষক মার্কো দিমিত্রোভিচ। রাফিনিয়া নিজেই সুযোগ পান ৩৩ মিনিটের সময়, তার শট দিমিত্রোভিচের হাতে লেগে যায় ক্রসবারে, একটুর জন্য হতাশ হতে হয় বার্সাকে। প্রথমার্ধের যোগ হওয়া সময়ে একটা সুযোগ নষ্ট করেন বার্সা ফরোয়ার্ড লামিনে ইয়ামালও।
এদিকে বিরতির পরও কখনো লেভানডফস্কির শট গেছে বারের উপর দিয়ে, কখনো ইয়ামাল শট মেরেছেন বাইরে। জুলস কুন্দে তো একটা নিশ্চিত গোলের সুযোগ পেয়েও বল বিস্ময়করভাবে বাইরে পাঠিয়ে দিয়েছেন। বদলি নামা ফেরমিন লোপেজের যোগ হওয়া সময়ের একটা শট তো প্রায় গোললাইন থেকে ফিরিয়ে দেন লেগানেসের অস্কার রদ্রিগেজ।
সব মিলিয়ে লিগে সর্বশেষ ৪ ম্যাচে বার্সার জয় মাত্র একটি, দুটি হারের সঙ্গে একটি ড্র। এই মৌসুমে লিগে ১৮ ম্যাচ খেলে এটি বার্সার চতুর্থ হার। তারপরেও অবশ্য ৩৮ পয়েন্ট নিয়ে এখন পর্যন্ত লিগের শীর্ষেই আছে বার্সা। ১৭ ম্যাচে সমান ৩৮ পয়েন্ট নিয়েও গোল ব্যবধানের কারণে আপাতত দুইয়ে অ্যাতলেতিকো মাদ্রিদ। ১৭ ম্যাচে ৩৭ পয়েন্ট পাওয়া রিয়াল মাদ্রিদ আছে তিন নম্বরে। এই দুই ক্লাবের হাতে সুযোগ আছে নিজেদের পরের ম্যাচেই বার্সাকে টপকে যাওয়ার।