গোপালগঞ্জের ড. ইমদাদুল হক মেমোরিয়াল ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষের পদত্যাগের দাবী।

0
6

গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় ড. ইমদাদুল হক মেমোরিয়াল ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ শিকদার মো. জিননুরাইনের বিরুদ্ধে অনিয়ম ও দূর্নীতির অভিযোগ তুলে তার পদত্যাগের দাবীতে বিক্ষোভ মিছিল, মানববন্ধন ও সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে।

শুক্রবার (০৭ ফেব্রুয়ারি) বেলা ১১টায় শিক্ষার্থী, অভিভাবক ও ডুমুরিয়া ইউনিয়নের সর্বস্তরের জনগণের ব্যানারে ড. ইমদাদুল হক মেমোরিয়াল ডিগ্রি কলেজ প্রাঙ্গনে হাতে হাত ধরে ঘন্টাব্যাপী মানববন্ধন কর্মসূচী পালন করা হয়। এসময় অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে অনিয়ম দুর্নীতির অভিযোগ তুলে পদত্যাগের দাবী জানায় মানববন্ধনকারীরা। পরে ওই ইউনিয়নের বাঁশবাড়িয়া বাজারে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।

সংবাদ সম্মেলনে মূল বক্তব্য রাখেন ডঃ ইমদাদুল হক মেমোরিয়াল কলেজের প্রতিষ্ঠাতা দাতা সদস্য ড. কাওছার তালুকদার ও কলেজের প্রতিষ্ঠাতা ইমদাদুল হকের ভাতিজা মফিজুল হক মিন্টু।

কাওছার তালুকদার বলেন, ড. ইমদাদুল হক মেমোরিয়াল ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ সিকদার মোহাম্মদ জিননুরাইন ভুয়া তথ্য দিয়ে এই প্রতিষ্ঠানে চাকুরী নেন। এরপর থেকে আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক প্রশয়ে কলেজে অনিময় ও অর্থের বিনিময়ে নিয়োগ বাণিজ্য শুরু করেন। যা দূর্নীতি দমন কমিশন তদন্ত করলে বের হয়ে আসবে। এমনকি তার হাতে অবৈধভাবে নিয়োগ পাওয়া এক শিক্ষককে এমপিওভুক্ত করতে জাল সনদ প্রদান করে। পরে বিষয়টি ধরা পরলে শিক্ষা মন্ত্রণালয় ব্যবস্থা নেয়া জন্য চিঠি দিলেও অধ্যক্ষ কোন ব্যবস্থা নেয়নি। তার অনিয়ম ও দুর্নীতির কারনে শিক্ষার মান নিচে নেমে যাওয়ায় অভিভাবকরা এই কলেজ তাদের সন্তানদের ভর্তি করতে চায় না। দুর্নীতিবাজ অধ্যক্ষ সিকদার মো: জিননুরাইনকে অপসারন করা না হলে এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটি ধ্বংস হয়ে যাবে বলেও আশঙ্কা প্রকাশ করেন তিনি।

কলেজের প্রতিষ্ঠাতা ইমদাদুল হকের ভাজিতা মফিজুল হক মিন্টু বলেন, অধ্যক্ষ জিননুরাইন নানা রঙের রাজনীতি করেন। আগে ছিলেন ঘোর আওয়ামী লীগের আর এখন পুরো বিএনপি। আগে সে বঙ্গবন্ধুর উপর বইও লিখেছিলেন। মূলত সে সুবিধাবাদী লোক যখন যেখানে সুবিধা পায় সেভাবেই কাজ করে। আর ভুয়া সনদ বানিয়ে অযোগ্য শিক্ষক সহ অন্যান্য পদে আর্থিক বাণিজ্যের মাধ্যমে নিয়োগ প্রদান করেন। বিশেষ করে কিছু সনাতন ধর্মাবলম্বীদের টার্গেট করে তাদের কাছ থেকে টাকা নিয়ে ভুয়া নিয়োগ দেন তিনি। আর টাকা ফেরত চাইলেই হুমকি দিয়ে তাদের মুখ বন্ধ করে দেন। এছাড়া আর্থিক অবস্থা ভালো এমন শিক্ষার্থীদের টার্গেট করে তাদের অকৃতকার্য করিয়ে দেন। পরে সরকার নির্ধারিত টাকার পরিবর্তে কয়েক গুণ বেশি টাকা নিয়ে তাদের পরীক্ষার সুযোগ দেন। তাই তার কারণে প্রতিষ্ঠানটি আজ ধ্বংসের মুখে। এ অধ্যক্ষকে দ্রুত অপসারন করে তার বিচারের দাবী জানাই।

সংবাদ সম্মেলনে ওই কলেজের দাতা সদস্য মোহাম্মদ ইবাদত হোসেন, গোপালগঞ্জ জেলা যুবদলের সাবেক কোষাধক্ষ্য নুরুল আমিন, ডুমুরিয়া ইউনিয়ন বিএনপির আহবায়ক সাইফুল্লাহ ইব্রাহিম তালুকদার, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ডুমুরিয়া ইউনিয়নের সভাপতি মোমরেজ ফকির, ডুমুরিয়া ইউনিয়ন ছাত্রদলের সাবেক যুগ্ন আহবায়ক সিরাজুল ইসলাম, নাজিরপুর উপজেলা শ্রমিক দলের আহবায়ক শোভন তালুকদার সহ স্থানীয় ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।