ওয়াশিংটনে ন্যাটো শীর্ষ সম্মেলন শেষ হওয়ার পর বাইডেন বলেন, ‘অনেক কিছু আছে, যে বিষয় আমি ইসরায়েলিদের রাজি করাতে পারতাম। কিন্তু মূল কথা হলো আমাদের এখন সুযোগ আছে। এ যুদ্ধ শেষ করার সময় এসেছে।’ বাইডেন স্বীকার করেন, ইসরায়েল এবং হামাসের মধ্যে ‘কঠিন-জটিল সমস্যা’ রয়ে গেছে। বাইডেন বলেন, ‘যুদ্ধ শেষ করার ক্ষেত্রে এখনো ফাঁক রয়েছে। ফিলিস্তিনের হামাস ও ইসরায়েলের নেতানিয়াহু সরকারের মধ্যে এ বিষয়ে পারস্পরিক বোঝাপড়ার ঘটতি এখনো দূর হয়নি। সমস্যা রয়েছে দুই পক্ষের মধ্যে সাধারণ অর্জনে। তবে এর মধ্যেই আমরা অগ্রগতি অর্জন করছি।’ তিনি বলেন, ‘প্রবণতাটি ইতিবাচক এবং আমি এ চুক্তিটি সম্পন্ন করতে এবং এ যুদ্ধের অবসান ঘটাতে দৃঢ় প্রতিজ্ঞ, যা এখনই শেষ হওয়া উচিত।’
বাইডেন এক মাসেরও বেশি আগে একটি পরিকল্পনা তৈরি করেছিলেন যাতে ইসরায়েল সাময়িকভাবে গাজায় হামলা বন্ধ করবে এবং হামাস যোদ্ধারা জিম্মিদের মুক্তি দেবে, ধ্বংসাত্মক ৯ মাসের যুদ্ধের স্থায়ী সমাপ্তির জন্য আলোচনার মঞ্চ তৈরি করবে। হামাস পাল্টা প্রস্তাব নিয়ে ফিরে এসেছে এবং ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু তার কিছু কট্টর-ডান সরকারের মিত্রদের কাছ থেকে এ শান্তি স্থাপনের প্রশ্নে প্রবল বিরোধিতার মুখোমুখি হয়েছেন। তবে কূটনীতিকরা মূল মধ্যস্থতাকারী কাতারে বৃহস্পতিবার শেষ হওয়া সর্বশেষ আলোচনায় অগ্রগতির কথা জানান। হামাস পরিচালিত গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের পরিসংখ্যান অনুসারে, ইসরায়েলি হামলায় গাজায় কমপক্ষে ৩৮ হাজার ৩৪৫ জন নিহত হয়েছে, এদের বেশিরভাগই মহিলা ও শিশু। আহতের সংখ্যা ১ লাখের কাছাকাছি বলে জানা গেছে।