গত বছর ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে হামলা চালিয়েছিল হামাস। এর পরেই ফিলিস্তিনে পাল্টা আক্রমন করে ইসরায়েল। গাজা যুদ্ধের এক বছর পার হয়েছে। ৭ অক্টোবর বর্ষপূর্তিতে এ যুদ্ধ নিয়ে কথা বলেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এবং দেশটির আসন্ন নির্বাচনে দুই প্রেসিডেন্ট প্রার্থী কমলা হ্যারিস ও ডোনাল্ড ট্রাম্প।
গত বছর শুরু হওয়া যুদ্ধ এখন মধ্যপ্রাচ্যজুড়ে ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা তৈরি করেছে। নভেম্বরের মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনেও এ যুদ্ধের প্রভাব পড়বে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
হোয়াইট হাউসে সোমবার (৭ অক্টোবর) ইহুদিদের শোক পালন অনুষ্ঠান হয়। প্রেসিডেন্ট বাইডেন এই অনুষ্ঠানে মোমবাতি প্রজ্বলন করেন। এসময় তিনি শান্তির আহ্বান জানান।
এক বিবৃতিতে বাইডেন বলেছেন, ‘এক বছর ধরে চলতে থাকা এই যুদ্ধে অনেক বেসামরিক মানুষকে অনেক বেশি ভুগতে হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের বর্তমান এই প্রেসিডেন্ট বলেছেন, তিনি ও কমলা হ্যারিস ইরান এবং গাজার হামাস, লেবাননের হিজবুল্লাহ এবং ইয়েমেনের হুতিদের বিরুদ্ধে ইসরায়েলকে সুরক্ষা দিতে ‘সম্পূর্ণ প্রতিশ্রুতিবদ্ধ’।
এদিকে আশা ও ন্যায়পরায়ণতার প্রতীক হিসেবে নিজের ওয়াশিংটনের বাড়িতে একটি ডালিমগাছ লাগান কমলা। এরপরপর তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ‘ওই অঞ্চলে (মধ্যপ্রাচ্যে) যেকোনো ধরনের স্থিতিশীলতা আনতে’ গাজা যুদ্ধবিরতি চুক্তি সবচেয়ে ভালো পন্থা। তিনি আরও বলেন, ‘আমরা আশা ছাড়ছি না। জিম্মিদের মুক্ত করতে একটি চুক্তিতে উপনীত হতে আমরা সম্ভাব্য সবকিছু করছি।’
অন্যদিকে, ফ্লোরিডায় নিজের গলফ ক্লাবে ইহুদি নেতাদের আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন ট্রাম্প। পরে ক্লাবের সামনে জড়ো হওয়া সমর্থকদের সামনে তিনি বলেন, ‘আমরা কখনো ওই দিনের বিভীষিকা ভুলতে পারব না। যদি আমি প্রেসিডেন্ট থাকতাম তবে ৭ অক্টোবরের হামলার ঘটনা কখনো ঘটত না।’
হামাসের সামরিক সক্ষমতা হ্রাসে ইসরায়েল যে অভিযান পরিচালনা করছে ট্রাম্প তার প্রশংসাও করেন। ট্রাম্প বলেন, ‘নতুন, সৌহার্দ্যপূর্ণ মধ্যপ্রাচ্যের সূচনা শেষ পর্যন্ত আমাদের হাতের নাগালে এসেছে।’