গতকাল মঙ্গলবার (৬ আগষ্ট) সকালে গাংনীতে বিএনপির ডাকা আনন্দ মিছিলে যান ইনামুল হক। এনিয়ে স্থানীয় বিএনপি কর্মী উজ্জ্বল হোসেন তাকে গোলআলু বলায় ক্ষিপ্ত হয়ে সন্ধ্যার দিকে তার মুদি দোকান ভাঙচুর করে ইনামুল হক ও তার লোকজন। এঘটনার জের ধরে রাত সাড়ে নয়টার দিকে উভয়পক্ষের মধ্যে সৃষ্ট সংঘর্ষে নাহারুল ইসলাম (৫৪) নামের একজন নিহত ও দুই ইউপি মেম্বরসহ অন্তত ৮ জন গুরুতর আহত হয়েছেন।
গতকাল মঙ্গলবার (৬ আগষ্ট) দিবাগত রাত সাড়ে ৯ টার দিকে গাংনী উপজেলার বাওট গ্রামে এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
আহতরা হলেন, নিহত নাহারুল ইসলামের বড় ভাই আইনাল হোসেন (৬২), আব্দাল হোসেন (৫৮), ইনামুল হক (৪০) ও তার ছেলে সিয়াম (১৭)। অপরপক্ষের আহতরা হলেন, মটমুড়া ইউনিয়নের সাবেক ইউপি মেম্বর মহিবুল ইসলাম(৬৮), আশরাফুল ইসলাম কালু (৫৬), হামিদুল ইসলাম(৪৬) ও আমিরুল ইসলাম (৪০)।
আহতদের উদ্ধার করে কুষ্টিয়া ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতাল, গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
গাংনী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো: তাজুল ইসলাম এই ঘটনা নিশ্চিত করেছেন।
আহত ইউপি সদস্য মহিবুল ইসলাম বলেন, তুচ্ছ ঘটনায় সন্ধ্যার দিকে বিএনপির স্থানীয় নেতা উজ্জ্বল হোসেনের মুদি দোকান ভাঙচুর করেন ইনামুল হক ও তাদের লোকজন। এনিয়ে বাকবিতন্ডার এক পর্যায় রাত সাড়ে নয়টার দিকে ইনামুল হক ও তার লোকজন দেশীয় তৈরী অস্ত্র নিয়ে মহড়া দিতে থাকে। তারা এলাকায় আতংক সৃষ্টি করে। এক পর্যায় আমাদের লোকজনও তাদের মহড়া প্রতিরোধ করতে দেশীয় তৈরী অস্ত্র নিয়ে তাদের প্রতিরোধ করেন।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে স্থানীয়রা জানান, তুচ্ছ ঘটনায় সৃষ্ট রক্তক্ষয়ি সংঘর্ষে নাহারুল ইসলাম নিহত হন। এসময় উভয় পক্ষের ৮ জন গুরুতর আহত হন।
গাংনী থানার ওসি তাজুল ইসলাম জানান, খবর পাওয়ার পর পুলিশের একটি টিম ঘটনাস্থলে পৌছেছেন। লাশের সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করে ময়নাতদন্তের জন্য মেহেরপুর ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের মর্গে নেওয়ার প্রস্তুতি চলছে।
এদিকে সংঘর্ষে নিহতের ঘটনার পর এলাকায় চলছে চরম উত্তেজনা।