নিউজ ডেস্ক:
গ্রীষ্মকালে তীব্র গরমে আমাদের গলা শুকিয়ে আসে। তাই বাইরে থেকে ফিরেই অনেককে ফ্রিজ খুলে ঠাণ্ডা পানি পান করতে দেখা যায়। এ ফলে তেষ্টা তো মেটেই না, বরং শরীরের মারাত্মক ক্ষতি হতে পারে। যতই গরম পড়ুন না কেন আয়ুর্বেদে ঠাণ্ডা পানি পানের ব্যাপারে কড়া নিষেধ রয়েছে। এর ফলে শরীরের স্বাভাবিক কার্যক্ষমতায় ব্যাঘাত ঘটতে পারে। বিশেষ করে খাবারের সঙ্গে বরফ ঠাণ্ডা পানি বা আইস ড্রিঙ্ক খেলে তা পরিপাকের কাজে বাধা দেয় ও শরীর খারাপ হয়।
হজমে বাধা
বরফ ঠাণ্ডা পানি বা ঠাণ্ডা পানীয় রক্তনালীকে সঙ্কুচিত করে দেয়। হজমে বাধা দেয় ও হজমের সময় প্রয়োজনীয় পুষ্টিগুণ শোষণেও বাধা দেয়। সেই সঙ্গেই পানির তাপমাত্রার সঙ্গে সাম্য বজায় রাখতে গিয়ে ডিহাইড্রেশন হয়ে যেতে পারে।
গলা ব্যথা
গরম কালে বরফ ঠাণ্ডা পানি পান করলে ঠাণ্ডা লেগে গলা ব্যথা, নাক বন্ধ হয়ে যাওয়ার ঝুঁকি থাকে। ঠাণ্ডা পানি শ্বাসনালীতে মিউকাস জমতে সাহায্য করে। ফলে শ্বাসনালীতে প্রদাহ হয়।
ফ্যাটের পরিপাকে বাধা দেয়
খাওয়ার ঠিক পরেই ঠাণ্ডা পানি পান করলে তা খাবারে থাকে ফ্যাট জমিয়ে দিতে পারে। ফলে ফ্যাট হজম হতে বাধা পায় ও শরীরে মেদ হিসেবে জমা হয়। তবে শুধু ঠাণ্ডা পানি নয়, খাওয়ার ঠিক পরই পানি পান করাও উচিত নয়। অন্তত ৩০ মিনিট পর পানি পান করুন।
হার্ট রেট
কিছু গবেষকরা জানিয়েছেন, ঠাণ্ডা পানি হার্ট রেট কমিয়ে দিতে পারে। বরফ ঠাণ্ডা পানি দশম কার্নিয়াল নার্ভকে উত্তেজিত করে। এই নার্ভ হার্ট রেট কমিয়ে দেয়।
শক ফ্যাক্টর
ওয়ার্কআউট করার পর খুব গরম লাগে। তখন অনেকেই ঠাণ্ডা পানি পান করতে চান। কিন্তু ওয়ার্কআউটের পর ঠাণ্ডা পানি পান করা উচিত নয়। জিম এক্সপার্টরা ওয়ার্কআউটের পর গরম পানি পান করতে পারেন। কারণ এক্সারসাইজের পর শরীর গরম হয়ে যায়। এই সময় বরফ ঠাণ্ডা পানি পান করলে শরীরের তাপমাত্রার সঙ্গে তারতম্যের জন্য পৌষ্টিকনালীতে প্রভাব ফেলে। উপরন্তু, শরীর কিন্তু ঠাণ্ডা পানি শোষণ করতে পারে না। পেটে কষ্টদায়ক যন্ত্রণাও হতে পারে।
সূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা।