নিউজ ডেস্ক:
বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে বড়পুকুরিয়া কয়লাখনি দুর্নীতির মামলায় অভিযোগ গঠনের শুনানির তারিখ পিছিয়েছে।
সোমবার মামলাটি অভিযোগ গঠনের শুনানির জন্য দিন ধার্য ছিল। কিন্তু শারীরিক অসুস্থতার কারণে খালেদা জিয়া আদালতে হাজির হতে পারেননি। আইনজীবী সানাউল্লাহ মিয়া খালেদা জিয়ার পক্ষে হাজিরা দেন। অন্যদিকে দুই আসামির পক্ষে হাইকোর্টে রিট আবেদন বিচারাধীন থাকায় অভিযোগ শুনানি পেছানোর জন্য সময় আবেদন করা হয়।
শুনানি শেষে ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-২ এর হোসনে আরা বেগম সময়ের আবেদন মঞ্জুর করে পরবর্তী শুনানির তারিখ ৬ সেপ্টেম্বর ধার্য করেছেন। মামলায় অভিযোগপত্রভূক্ত আসামির সংখ্যা ১৩ জন। কিন্তু জামায়াত নেতা নিজামী ও মুজাহিদের ফাঁসি কার্যকর হওয়ায় বর্তমানে আসামির সংখ্যা ১১ জন।
মামলার অপর আসামিরা হলেন- তৎকালীন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, তৎকালীন কৃষিমন্ত্রী এমকে আনোয়ার, তৎকালীন তথ্যমন্ত্রী এম শামসুল ইসলাম, মো. সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী, তৎকালীন বাণিজ্যমন্ত্রী এয়ার ভাইস মার্শাল (অব.) আলতাফ হোসেন চৌধুরী, হোসাফ গ্রুপের চেয়ারম্যান মোয়াজ্জেম হোসেন, তৎকালীন জ্বালানি ও খনিজ সম্পদসচিব নজরুল ইসলাম, পেট্রোবাংলার সাবেক পরিচালক মঈনুল আহসান, তৎকালীন জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী একেএম মোশারফ হোসেন ও তৎকালীন ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী ব্যারিস্টার মো. আমিনুল হক।
বিগত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে ২০০৮ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি রাজধানীর শাহবাগ থানায় মামলাটি দায়ের করেন দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) সহকারী পরিচালক মো. সামছুল আলম। দুদকের উপপরিচালক মো. আবুল কাসেম ওই বছরের ৫ অক্টোবর খালেদা জিয়াসহ আসামিদের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।
কনসোর্টিয়াম অব চায়না ন্যাশনাল মেশিনারি ইম্পোর্ট অ্যান্ড এক্সপোর্ট করপোরেশনকে (সিএমসি) বড়পুকুরিয়া কয়লাখনির অনুমোদন দিয়ে রাষ্ট্রের কয়লা উত্তোলনে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ দরদাতা সিএমসির সঙ্গে বড়পুকুরিয়া কয়লাখনির উৎপাদন, ব্যবস্থাপনা ও রক্ষণাবেক্ষণ চুক্তি করায় সরকারের প্রায় ১৫৮ কোটি ৭১ লাখ টাকার ক্ষতির অভিযোগ করা হয় মামলাটিতে।