নিউজ ডেস্ক:
ছাত্রলীগের উদ্দেশ্যে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, “দলের ভাবমূর্তি নষ্ট হয় এমন কোনো কাজ হলে সাংগঠনিক ও প্রশাসনিকভাবে আমরা কাউকে রেহাই দেব না। ছাত্রলীগের প্রতি নির্দেশনা দেয়ার জন্য নেত্রী আমাকে পরিস্কার বলে দিয়েছেন। ছাত্রলীগকে আবারও বলছি খারাপ খবরের শিরোনাম নয়, সুনামের ধারায় ফিরে এসো। ভাল খবরে এসো, তা না হলে আরো কঠোর ব্যবস্থা আমরা নেব। ”
গতকাল শনিবার দুপুরে নগরীর পাঁচলাইশ এলাকার একটি কমিউনিটি সেন্টারে চট্টগ্রাম উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের প্রতিনিধি সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে তিনি এ কথা বলেন।
গুটি কয়েকের জন্য গোটা দলকে নষ্ট হতে না দেয়ার আহবান জানিয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের আরো বলেছেন, “ছাত্রলীগকে স্বার্থরক্ষার পাহাড়াদার হিসেবে ব্যবহার করবেন না। ছোটখাটো ভুলক্রুটি ঘরোয়াভাবে বসে সমাধান করুন। কথায় কথায় মুখোমুখি কথায় কথায় মারামারি কথায় কথায় খুনোখুনি নয়। তাতে আপনাদেরও ক্ষতি হবে ছাত্রলীগেরও ক্ষতি হবে। ঘরের মধ্যে আর ঘর তৈরি করবেন না। ”
তৃনমূলের নেতা-কর্মীদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, “আমাদের এতো সুনাম, এতো অর্জন গুটি কয়েকের জন্য নষ্ট হতে দেয়া যাবে না। আজকে ঢুকতেই দেখলাম অমুক ভাইয়ের তমুক ভাইয়ের পক্ষ থেকে স্লোগান-শুভেচ্ছা। এটা তো শৃঙ্খলার বিষয় না। আগামি নির্বাচনে প্রধান প্রতিপক্ষ হবে আওয়ামীলীগ। বিএনপি হবে না। তাহলে কেউ আওয়ামী লীগকে রক্ষা করতে পারবেন না। এখানে ফুল নিতে আসিনি, রাজনৈতিক ভাষন শুনতে আসিনি। তৃনমূল হতে উপরের পর্যায় পর্যন্ত নেতাদের খুশী করার আওয়ামীলীগ ভবিষ্যতের জন্য শুভ নয়। ”
তিনি আরও বলেন, “অনেকেই আমার বিরুদ্ধে যেতে পারে কিন্তু আওয়ামীলীগকে সৃশৃংখল করতে শেষ পর্যন্ত লড়ে যাবো। দল করবেন নিয়ম শৃংখলা মানবেন না, সেটা হবে না। প্রতিনিয়ত চাপের মধ্যে আছি। এতে যে কোন চাপ সহ্য করবো। এতে দলকে একটি লক্ষে নিয়ে যেতে চাই। দেখার খুশী করার প্রবণতা বন্ধ করুন, নেতা বন্ধনা ছাড়তে হবে। বিএনপি আজ বন্ধনা করতে করতে পায়ের তলা চলে গেছে। ”
চট্টগ্রাম উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের প্রতিনিধি সভায় রেলপথ মন্ত্রনালয় মন্ত্রনালয়ের সংদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি এবিএম ফজলে করিম চৌধুরীর সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি ছিলেন দলের প্রেসিডিয়াম সদস্য গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন এমপি, আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুল আলম হানিফ এমপি, প্রচার সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ এমপি, চট্টগ্রামের দায়িত্বপ্রাপ্ত বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক একেএম এনামুল হক শামীম, দিদারুল আলম এমপি, মাহফুজুর রহমান মিতা এমপি।
উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান এমএ সালামের পরিচালনায় বক্তব্য রাখেন রাউজান উপজেলা চেয়ারম্যান এহছানুল হায়দার চৌধুরী বাবুল, সন্দ্বীপ উপজেলা চেয়ারম্যান শাহজাহান বিএ, উত্তর জেলা নেতা দেবাশীষ পালিত, তৃনমূলের নেতাদের মধ্যে শেখ আতাউর রহমান, মুজিবুল হক, কামাল উদ্দিন, বাকের ভুইয়া, নোমান চৌধুরী, মুসলেম উদ্দিন, মোহাম্মদ আলী খসরু, মিজানুর রহমান, শাহনেওয়াজ চৌধুরী, অঅবু তালেব, রেহান উদ্দিন, কবির আহমেদ নিযামি, আবদুল জব্বার সোহেল, হাসানুজ্জামার বাচ্চু, শফিউল আলম, আবুল খায়ের নাজিম, সাদেক উল্লাহ, ইফতেখার মারুফ, সরোয়ার্দী শিকদার, ফরিদুল ইসলাম প্রমুখ। উপস্থিতি ছিলেন আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল, ব্যরিষ্টার বিপ্লব বড়ুয়া,শাহজাদা মহিউদ্দিন, নেতা মাহফুজুল হায়দার রোটন প্রমুখ।