নিউজ ডেস্ক:
সিলেটে কলেজছাত্রী খাদিজা বেগম নার্গিস হত্যাচেষ্টা মামলার যুক্তিতর্কের দিন আগামী ১ মার্চ ধার্য করেছেন আদালত।গতকাল রবিবার দুপুরে সিলেট মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে খাদিজার সাক্ষ্যগ্রহণের পর বিচারক যুক্তিতর্কের দিন ধার্য করেন।
আদালতের অতিরিক্ত সরকারি কৌঁসুলি মাহফুজুর রহমান জানিয়েছেন, আজ সিলেট মুখ্য মহানগর হাকিম সাইফুজ্জামান হিরোর আদালাতে খাদিজার সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়। খাদিজা হত্যাচেষ্টা মামলায় মোট ৩৩ সাক্ষির মধ্যে ৩২জন আগেই সাক্ষ্য দিয়েছেন। আজ খাদিজার সাক্ষ্য নেওয়ার পর আসামীপক্ষ সাফাই সাক্ষী দেবে না বলে সিদ্ধান্ত জানালে বিচারক যুক্তিতর্কের দিন ধার্য করেন।
এর আগে গতকাল রবিবার সকাল ১০টা ৩৮ মিনিটের দিকে পরিবারের সদস্যদের সাথে আদালত প্রাঙ্গনে আসেন খাদিজা। পরে বিচারকের সামনে বদরুলকে চিহ্নিত করে বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দেন তিনি।
ছাত্রলীগ নেতা বদরুল আলমের নৃশংসতার চাপাতির আঘাতে আহত কলেজছাত্রী খাদিজা বেগম নার্গিস এখন পুরোপুরি সুস্থ। ঘটনার ৩ মাস ২২ দিন পর হামলাকারীর বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দিতে সিলেট মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে এসেছেন তিনি।
গত বছরের ৩ অক্টোবর এমসি কলেজের পুকুরপাড়ে সিলেট সরকারি মহিলা কলেজের স্নাতক দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী খাদিজা বেগম নার্গিসকে চাপাতি দিয়ে কুপিয়ে গুরুতর আহত করে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের অনিয়মিত ছাত্র ও শাবি ছাত্রলীগের সহ-সম্পাদক বদরুল আলম। ঘটনার পরপরই শিক্ষার্থীরা বদরুলকে আটক করে পুলিশের হাতে তুলে দেন।
এ ঘটনায় খাদিজার চাচা আবদুল কুদ্দুস বাদী হয়ে বদরুলকে একমাত্র আসামি করে মামলা দায়ের করেন। ৫ অক্টোবর বদরুল আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয়। পরে তাকে কারাগারে প্রেরণ করেন আদালত। এছাড়ার ঘটনার পর শাবি থেকে চিরতরে বহিষ্কার করা হয় বদরুলকে।
শাবি ছাত্রলীগ নেতা বদরুল আলমের চাপাতির কোপে গুরুতর আহত হওয়া খাদিজাকে প্রথমে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখান থেকে ঢাকার স্কয়ার হাসপাতালে। কিছুটা সুস্থ হওয়ার পর ২৮ নভেম্বর সাভারে সিআরপিতে ভর্তি করা হয় খাদিজাকে। প্রায় তিন মাস সেখানে চিকিৎসাধীন থাকার পর শুক্রবার সুস্থ হয়ে সিলেটে নিজের বাড়িতে ফিরেছেন খাদিজা। মাঝে এক ফেব্রুয়ারি সপ্তাহখানেকের জন্য বাড়ি ঘুরে যান তিনি।