ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে গত ১১ নভেম্বর নাক, কান, গলা, বিভাগে নুর আলম নামের এক রোগী ভর্তি হয়। তার কাছে থেকে পাপিয়া আক্তার স্বর্ণা (২৫) নামের এক ভুয়া চিকিৎসক কৌশলে ২৮ হাজার টাকা নিয়ে নেয়। আজ তাকে আটক করে শাহবাগ থানায় হস্তান্তর করা হয়।
রোববার (১৭ নভেম্বর) দুপুর পৌনে ১টার দিকে ঢামেক হাসপাতালের নাক, কান, গলা বিভাগের ৩০৩ নম্বর ওয়ার্ড থেকে তাকে আটক করা হয়।
ঢাকা মেডিকেলে দায়িত্বে থাকা আনসারের প্লাটুন কমান্ডার (পিসি) মিজানুর রহমান জানান, ১২টার দিকে আমাদের সদস্যরা টহল দেওয়ার সময় এই নারীকে অ্যাপ্রোন পরে ঘোরাফেরা করতে দেখে। তার চলা-ফেরায় সন্দেহ হলে আনসার সদস্যরা ওই ওয়ার্ডে কর্মরত চিকিৎসকদের ডেকে ওই নারীকে দেখান। পরে ঢাকা মেডিকেলের কোনো চিকিৎসক তাকে না চিনলে ওই নারীকে প্রশাসনিক ভবনে পরিচালকের কক্ষে নেওয়া হয়।
পরে জিজ্ঞাসাবাদ করে পরিচালক ও উপ-পরিচালকের পরামর্শে ওই ভুয়া নারী চিকিৎসককে ঢামেকের পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ পরিদর্শক মো. ফারুকের কাছে সোপর্দ করা হয়।
ঢাকা মেডিকেলে কেন এসেছেন জানতে চাইলে অভিযুক্ত পাপিয়া আক্তার স্বর্ণা জানান, পূর্বপরিচিত এক রোগীকে নিয়ে ঢাকা মেডিকেলে চিকিৎসা করাতে এসেছেন।
চিকিৎসকের অ্যাপ্রোন কেন পরেছেন জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি এটা ভুল করেছি, ভবিষ্যতে আর এ কাজ করব না। আমার ভুল হয়েছে আমি জীবনে আর এ ধরনের অপরাধ করব না।
ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ পরিদর্শক ফারুক বলেন, আমরা জানতে পেরেছি গত ১১ নভেম্বর নাক, কান, গলা, বিভাগে নুর আলম নামের এক রোগী ভর্তি হয়। তার কাছে থেকে এই ভুয়া চিকিৎসক কৌশলে ২৮ হাজার টাকা নিয়ে নেয়। পরে আমরা তাকে শাহবাগ থানায় হস্তান্তর করি।
ফারুক আরও জানান, ওই ভুয়া নারী চিকিৎসক নরসিংদী জেলার মনোহরদী থানার ওয়াদিয়া গ্রামের মো. আনোয়ার হোসেনের মেয়ে। বর্তমানে ঢাকার বকশিবাজার এলাকায় ভাড়া বাসায় থাকেন।
এর আগে, গত বছর ডিসেম্বরে মুনিয়া রোজা নামের এক ভুয়া নারী চিকিৎসকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।