ভিটামিন ডি এর অভাবে হাড়ের ক্ষয় হয়।
ভিটামিন ডি-এর অভাব হলে শিশুর রোগ প্রতিরোধ শক্তি কমে যায়। পাশাপাশি এর অভাবে মেজাজ খিটখিটে হয়ে যায়। এছাড়া শিশু অমনোযোগী হয়ে পড়ার পিছনেও কাজ করে ভিটামিন ডি।
ভিটামিন ডি সমৃদ্ধ খাবার
১) বিভিন্ন ধরণের সামুদ্রিক মাছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ডি থাকে। সামুদ্রিক মাছ স্যামন নানা পুষ্টিগুণে ভরা। খাবারের তালিকায় এই মাছ রাখলে ভিটামিন ডি পাওয়া যাবে। এছাড়া ভেটকি, ইলিশ মাছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ডি আছে।
২) ভিটামিন ডি-এর আরেকটি বড় উৎস ডিমের কুসুম। মজার বিষয় হচ্ছে ডিমের শক্ত আবরণে ভিটামিন ডি বেশি থাকে। এজন্য অনেক সময় গাছের গোড়ায় ডিমের খোসা গুড়ো করে দিতে দেখা যায়।
৩) দুধ ও দুগ্ধজাত যে কোনও খাবারেই ভিটামিন ডি ভালো পরিমাণে থাকে। শিশুদের দুধ, পনির, ছানা খাওয়াতে হবে।
৪) গরুর দুধে এলার্জি থাকলে সে ক্ষেত্রে বিকল্প হিসাবে বাদামের দুধ যেমন কাঠবাদামের দুধ, ওট্স মিল্ক খেতে পারে শিশু।
৬) নিরামিষ খাবারে ভিটামিন ডি-এর মাত্রা কম থাকে। দিনে ৪-৫ টি কাঠবাদাম ভিটামিন ডি-এর অভাব কমাতে পারে। এছাড়া মাশরুমেও ভিটামিন ডি থাকে।
বিশ্বব্যাপী আনুমানিক এক বিলিয়ন মানুষ ভিটামিন ডি এর ঘাটতিতে রয়েছে। সচেতনভাবে তৈরি খাদ্য তালিকা খুব সহজেই শিশুর শরীরে ভিটামিন ডি এর অভাব কমাতে পারে।