1. [email protected] : amzad khan : amzad khan
  2. [email protected] : NilKontho : Anis Khan
  3. [email protected] : Nil Kontho : Nil Kontho
  4. [email protected] : Nilkontho : rahul raj
  5. [email protected] : NilKontho-news :
  6. [email protected] : M D samad : M D samad
  7. [email protected] : NilKontho : shamim islam
  8. [email protected] : Nil Kontho : Nil Kontho
  9. [email protected] : user 2024 : user 2024
  10. [email protected] : Hossin vi : Hossin vi
কেয়ামতের দিন যাদের শাস্তি হবে অত্যন্ত ভয়াবহ | Nilkontho
১২ই ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | বৃহস্পতিবার | ২৭শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
হোম জাতীয় রাজনীতি অর্থনীতি জেলার খবর আন্তর্জাতিক আইন ও অপরাধ খেলাধুলা বিনোদন স্বাস্থ্য তথ্য ও প্রযুক্তি লাইফষ্টাইল জানা অজানা শিক্ষা ইসলাম
শিরোনাম :
বগুড়ায় ফেনসিডিলসহ আ. লীগ নেতা গ্রেপ্তার যাকে সবচেয়ে বেশি পাশে পেয়েছি, তাকেই ‘র’ এজেন্ট বলছেন: আসিফ মাহমুদ বাশারের বাবার সমাধিতে আগুন ধরিয়ে দিল বিদ্রোহীরা গাজায় বর্বর হত্যাযজ্ঞ চলছেই, নিহত ছাড়াল ৪৪ হাজার ৮০০ লন্ডন থেকে দেশের পথে মির্জা ফখরুল মজলুম জননেতা মওলানা ভাসানীর জন্মবার্ষিকী আজ শীত নিয়ে দুঃসংবাদ দিল আবহাওয়া অফিস সাড়ে তিন ঘণ্টা পর সচল ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম ও হোয়াটসঅ্যাপ ‘জুলাই বিপ্লব’ এ আহতদের নিয়ে পাটাতন কুবির আলোচনা সভা রাবিতে পোষ্য কোটা বহাল রাখার প্রতিবাদে মানববন্ধন কচুয়ায় অশ্রুসিক্ত নয়নে সজ্জিত গাড়িতে শিক্ষকের রাজকীয় বিদায় কুবিতে ‘ভাষার দুই অক্ষ; রূপক ও লক্ষণা’ শীর্ষক সেমিনারে ড. সলিমুল্লাহ খান চুয়াডাঙ্গায় সীমান্তে বিজিবি অভিযানে মাদকসহ আটক ৪ দর্শনার শীর্ষ সন্ত্রাসী সাহাবুলকে গ্রেফতার করেছে সেনাবাহিনী পাম-সয়াবিন তেল ও মসুর ডাল কিনবে সরকার রাজনৈতিক দলগুলো সংস্কারের পরিবর্তে নির্বাচনকে বেশি প্রাধান্য দিচ্ছে রাজনৈতিক প্রভাবমুক্ত থেকে ন্যায়নিষ্ঠার সঙ্গে কাজ করবো ভুয়া মুক্তিযোদ্ধাদের বিষয়ে জারি হতে পারে ইনডেমনিটি বাংলাদেশের জন্য এডিবির ৬০০ মিলিয়ন ডলার ঋণ অনুমোদন শেরপুরের নকলায় এসএসসি পরীক্ষার্থীর ঝুঁলন্ত মরদেহ উদ্ধার

কেয়ামতের দিন যাদের শাস্তি হবে অত্যন্ত ভয়াবহ

  • প্রকাশের সময় : রবিবার, ৮ ডিসেম্বর, ২০২৪

আখেরাত হলো মানুষের চূড়ান্ত গন্তব্য। যেখানে তার ইহজীবনের প্রতিটি কাজের বিচার হবে। ভালো কাজের পুরস্কার জান্নাতের চিরস্থায়ী নেয়ামত আর মন্দ কাজের শাস্তি জাহান্নামের ভয়াবহ আগুন। এই বিশ্বাস মানুষকে সত্ পথে চলতে উদ্বুদ্ধ করে এবং পাপ থেকে বিরত রাখে। আখেরাতের এই পুরস্কার ও শাস্তি আমাদের জীবনের লক্ষ্য ঠিক করে দেয় এবং নৈতিক চরিত্র গঠনে সহায়তা করে।

তাই এই প্রবন্ধে কেয়ামতের দিন মন্দ কাজের শাস্তির নমুনা হিসেবে কয়েকটি হাদিসের ভাষ্য তুলে ধরা হলো, যা পাঠককে মন্দ কাজের পরিণতি সম্পর্কে ভাবতে বাধ্য করবে।

মিথ্যা অপবাদ ও সম্পদ আত্মসাত্রে ভয়াবহ শাস্তি

আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল (সা.) ইরশাদ করেন, ‘তোমরা কি জানো নিঃস্ব কে? তারা বলেন, হে আল্লাহর রাসুল! আমাদের মধ্যে নিঃস্ব হচ্ছে ওই ব্যক্তি, যার নগদ অর্থ নেই, কোনো সম্পদও নেই। রাসুল (সা.) বলেন, আমার উম্মতের মধ্যে ওই ব্যক্তি হচ্ছে নিঃস্ব, যে কিয়ামত দিবসে নামাজ, রোজা, জাকাতসহ বহু আমল নিয়ে উপস্থিত হবে এবং এর সঙ্গে সে কাউকে গালি দিয়েছে, কাউকে মিথ্যা অপবাদ দিয়েছে, কারো সম্পদ আত্মসাত্ করেছে, কারো রক্ত প্রবাহিত (হত্যা) করেছে, কাউকে মারধর করেছে ইত্যাদি অপরাধও নিয়ে আসবে। সে তখন বসবে এবং তার নেক আমল থেকে এ ব্যক্তি কিছু নিয়ে যাবে, অন্য ব্যক্তি কিছু নিয়ে যাবে। এভাবে সম্পূর্ণ বদলা (বিনিময়) নেওয়ার আগেই তার সত্ আমল নিঃশেষ হয়ে গেলে তাদের গুনাহ তার ওপর চাপিয়ে দেওয়া হবে, তারপর তাকে জাহান্নামে নিক্ষেপ করা হবে।’ (মুসলিম, হাদিস : ২৫৮১)

যাদের নাড়ি-ভুঁড়ি জাহান্নামে জ্বলবে

হজরত জাবের (রা.) বলেন, রাসুলুল্লাহ (সা.) ইরশাদ করেন, আমার উপরে (মিরাজে বা স্বপ্নে) জাহান্নামকে হাজির করা হয়। তাতে আমি বনু ইসরাইলের একজন মহিলাকে দেখলাম যাকে একটি বিড়ালের কারণে শাস্তি দেওয়া হচ্ছে। সে বিড়ালটিকে বেঁধে রেখেছিল। তাকে খেতেও দেয়নি, ছেড়েও দেয়নি, যাতে সে জমিনে বিচরণ করে পোকা-মাকড় ইত্যাদি খেতে পারে। অবশেষে বিড়ালটি ক্ষুধায় মারা যায়। তাছাড়া আমি সেখানে আমর ইবনু আমের আল-খুজাঈকে দেখলাম। সে জাহান্নামের আগুনের মধ্যে নিজের নাড়ি-ভুঁড়ি টেনে চলেছে। এ ব্যক্তিই সর্বপ্রথম দেব-দেবির নামে ষাঁড় ছেড়ে দেওয়ার কুপ্রথা চালু করেছিল’। (মুসলিম, হাদিস : ৯০১)

বে-আমল বক্তার চূড়ান্ত শাস্তি

নিজে সত্কাজে অনুগত না থেকে অন্যদের সত্কাজে আহ্বান করা এবং অন্যায় থেকে বিরত না থেকে নিষেধ করা এক বড় অপরাধ, যার শাস্তি অত্যন্ত ভয়াবহ। এ মর্মে উসামা বিন জায়েদ (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, কিয়ামতের দিন এক ব্যক্তিকে আনা হবে। অতঃপর তাকে জাহান্নামে নিক্ষেপ করা হবে। যাতে আগুনে পুড়ে তার নাড়ি-ভুঁড়ি বের হয়ে যাবে এবং গাধা যেমন গম পেষার সময় ঘানির চারপাশে ঘুরতে থাকে, অনুরূপভাবে সেও তার নাড়ি-ভুঁড়ির চারপাশে ঘুরতে থাকবে। এ সময় জাহান্নামবাসীরা সেখানে জমা হয়ে জিজ্ঞেস করবে, হে অমুক! তোমার ব্যাপার কি? তুমি না আমাদের সত্কাজের আদেশ করতে ও অন্যায় কাজে নিষেধ করতে? জবাবে সে বলবে, আমি তোমাদের সত্কাজের আদেশ করতাম। কিন্তু আমি নিজে তা করতাম না। আর তোমাদেরকে অন্যায় কাজে নিষেধ করতাম। কিন্তু আমি নিজে তা করতাম’। (বুখারি, হাদিস : ৩২৬৭)

চার শ্রেণীর অপরাধের ভয়াবহ শাস্তির কথা

সামুরাহ বিন জুনদুব (রা.) বলেন, রাসুলুল্লাহ (সা.) সালাত শেষে আমাদের দিকে মুখ ফিরিয়ে বসতেন। একদিন তিনি বললেন, তোমাদের মধ্যে আজ কেউ স্বপ্ন দেখেছ কি? কেননা আমাদের কেউ এরূপ দেখে থাকলে তা বর্ণনা করত এবং তিনি আল্লাহ যা চাইতেন সে অনুযায়ী ব্যাখ্যা করে দিতেন। যথারীতি একদিন (ফজর সালাত শেষে) তিনি আমাদের জিজ্ঞেস করলেন, তোমাদের কেউ আজ কোন স্বপ্ন দেখেছ কি? আমরা বললাম, না। তিনি বললেন, কিন্তু আমি দেখেছি যে, দুজন ব্যক্তি আমার নিকটে আসল। অতঃপর তারা আমাকে পবিত্র ভূমির (শাম বা বায়তুল মুকাদ্দাসের) দিকে নিয়ে গেল। সেখানে গিয়ে দেখলাম (১) একজন ব্যক্তি বসে আছে এবং অপর ব্যক্তি একমুখ বাঁকানো ধারালো লোহার সাঁড়াশী হাতে দাঁড়িয়ে আছে। সে উক্ত বসা ব্যক্তির গালের এক পাশ দিয়ে ওটা ঢুকিয়ে দিয়ে ঘাড়ের পিছন পর্যন্ত চিরে দিচ্ছে। অতঃপর গালের অপর পার্শ্ব দিয়ে ঢুকিয়ে দিয়ে ঘাড়ের পিছন পর্যন্ত চিরে দিচ্ছে। ইতিমধ্যে গালের প্রথমাংশটি ভাল হয়ে যায়। তখন আবার সে তাই করে (এই ভাবে একবার এগাল একবার ওগাল চিরতে থাকে)। আমি বললাম এটা কি? তারা দুজন বলল, সামনে চল। (২) অতঃপর আমরা এমন এক ব্যক্তির কাছে গিয়ে পৌঁছলাম, যে চিত্ হয়ে শুয়ে আছে। অপর ব্যক্তি একটা ভারি পাথর নিয়ে তার মাথার কাছে দাঁড়িয়ে আছে। সে ঐ পাথর ছুঁড়ে শায়িত ব্যক্তির মাথা চূর্ণ করে দিচ্ছে। অতঃপর পাথরটি দূরে গড়িয়ে যায়। তখন লোকটি পাথরটি কুড়িয়ে আনতে যায়। ইতিমধ্যে তার মাথা পূর্বের ন্যায় ঠিক হয়ে যায়। তখন পুনরায় সে পাথর ছুঁড়ে তার মাথা চূর্ণ-বিচূর্ণ করে দেয়। আমি জিজ্ঞেস করলাম, এটা কি? তারা বলল, সামনে চল। (৩) আমরা সামনের দিকে চললাম। অবশেষে একটা গর্তের নিকটে এলাম। যা ছিল বড় একটা চুলার মত। যার উপরাংশ সংকীর্ণ এবং নীচের অংশ প্রশস্ত। যার তলদেশে আগুন জ্বলছিল। আগুনের লেলিহান শিখা যখন উপরে উঠত, তখন তার ভিতরে যারা আছে, তারাও উপরের দিকে উঠে আসত এবং তারা গর্ত থেকে বাইরে ছিটকে পড়ার উপক্রম হ’ত। আবার যখন আগুন নীচে নামত, তখন তারাও নীচে নেমে যেত। এর মধ্যে ছিল একদল উলঙ্গ নারী ও পুরুষ। আমি জিজ্ঞেস করলাম, এটা কি? তারা বলল, সামনে চল। (৪) অতঃপর আমরা অগ্রসর হয়ে একটা রক্তের নদীর কিনারে এসে পৌঁছলাম। দেখলাম নদীর মাঝখানে একজন লোক দাঁড়িয়ে আছে ও নদীর কিনারে একজন দাঁড়িয়ে। যার সামনে রয়েছে একটি পাথরের খন্ড। অতঃপর নদীর মধ্যের লোকটি যখনই তীরে ওঠার জন্য অগ্রসর হচ্ছে, তখনই তীরে দাঁড়ানো লোকটি তার চেহারা লক্ষ্য করে পাথর ছুঁড়ে মারছে। ফলে লোকটি আবার সেখানে ফিরে যাচ্ছে, যেখানে সে পূর্বে ছিল। এভাবে যখনই লোকটি তীরের দিকে আসার চেষ্টা করে, তখনই কিনারে দাঁড়ানো লোকটি তার মুখের উপর পাথর মেরে তাকে পূর্বের স্থানে ফিরিয়ে দেয় যেখানে সে ছিল। আমি বললাম, এটা কি? তারা বলল, সামনে চল।

… অতঃপর তারা আমাকে ব্যাখ্যা দিল যে, (১) প্রথম ব্যক্তি যাকে সাঁড়াশী দিয়ে গাল চেরা হচ্ছিল, ওটা হলো মিথ্যাবাদী। তার কাছ থেকে মিথ্যা রটনা করা হত। এমনকি তা সর্বত্র পৌঁছে যেত। ফলে তার সাথে কিয়ামত পর্যন্ত (কবরে) ঐরূপ আচরণ করা হবে, যা তুমি দেখেছ। (২) যে ব্যক্তির মাথা পাথর ছুঁড়ে চূর্ণ করা হচ্ছে, ওটা হল সেই ব্যক্তি, আল্লাহ যাকে কোরআন শিক্ষা দিয়েছিলেন। অতঃপর সে কোরআন থেকে গাফেল হয়ে রাত্রে ঘুমাতো এবং দিনেও সে অনুযায়ী আমল করত না। অতএব তার সাথে কেয়ামত পর্যন্ত (কবরে) ঐরূপ আচরণ করা হবে, যা তুমি দেখেছ। (৩) আগুনের চুলার গর্তে তুমি যাদের দেখেছ, ওরা হল জেনাকার। আর (৪) রক্তের নদীর মধ্যে তুমি যাদের দেখেছ, ওরা হ’ল সুদখোর’। … আর আমি হলাম জিবরিল এবং ইনি হ’লেন মিকাঈল’।
(বুখারি, হাদিস : ১৩৮৬)

এই পোস্ট শেয়ার করুন:

এই বিভাগের আরো খবর

নামাযের সময়

সেহরির শেষ সময় - ভোর ৫:১৫
ইফতার শুরু - সন্ধ্যা ৫:২১
  • ফজর
  • যোহর
  • আছর
  • মাগরিব
  • এশা
  • সূর্যোদয়
  • ৫:১৬
  • ১২:০১
  • ৩:৪২
  • ৫:২১
  • ৬:৪০
  • ৬:৩৬

বিগত মাসের খবরগুলি

শুক্র শনি রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ
 
১০১১
১৩১৫১৬১৯
২০২১২২২৩২৪২৫২৬
২৭৩০৩১