শনিবার, ফেব্রুয়ারি ২২, ২০২৫
শনিবার, ফেব্রুয়ারি ২২, ২০২৫

কৃষি গুচ্ছের ৯ বিশ্ববিদ্যালয়ের আবেদন শুরু

কৃষি গুচ্ছভুক্ত ৯ পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে গুচ্ছ পদ্ধতিতে ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষে ১ম বর্ষ স্নাতক (সম্মান) বা স্নাতক শ্রেণির ভর্তি পরীক্ষার আবেদন প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। আজ শনিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) থেকে শুরু হওয়া আবেদন প্রক্রিয়া চলবে ১৬ মার্চ পর্যন্ত।

এবার ৩ হাজার ৮৬৩ আসনে ভর্তি হতে আবেদন করতে পারবেন আগ্রহী শিক্ষার্থীরা। দ্বিতীয়বারও আবেদনের সুযোগ থাকছে। অনলাইনে আবেদন করতে পারছেন শিক্ষার্থীরা। আবেদন ফি ১ হাজার ২০০ টাকা।

এবার কৃষিগুচ্ছের নেতৃত্ব দেবে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় (বাকৃবি)।

আবেদনের যোগ্যতা
এ–সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ২০২০/২০২১/২০২২ সালে এসএসসি/সমমান এবং ২০২৩/২০২৪ সালে এইচএসসি/সমমানের পরীক্ষায় যাঁরা বিজ্ঞান বিভাগ থেকে জীববিজ্ঞান, রসায়ন, পদার্থবিজ্ঞান, গণিতসহ উত্তীর্ণ হয়েছেন, কেবল তাঁরাই আবেদন করতে পারবেন। এবার সে হিসেবে দ্বিতীয়বার আবেদন ও পরীক্ষার সুযোগ থাকছে। ২০২৩ সালে এসএসসি/সমমান মানোন্নয়ন পরীক্ষায় উত্তীর্ণ পরীক্ষার্থীরাও আবেদন করতে পারবেন।

*আবেদনকারীর এসএসসি/সমমান এবং এইচএসসি/সমমানের পরীক্ষায় উভয় ক্ষেত্রে প্রতিটিতে চতুর্থ বিষয় ব্যতীত ন্যূনতম জিপিএ ৪.০০ এবং মোট ন্যূনতম জিপিএ ৮.৫০ থাকতে হবে।

*‘ও’ এবং ‘এ’ লেভেল পাস করা প্রার্থীর ক্ষেত্রে: ‘ও’ লেভেল পরীক্ষার অন্তত পাঁচটি বিষয়ে এবং ‘এ’ লেভেল পরীক্ষায় বিজ্ঞানের অন্তত দুটি বিষয়ে উত্তীর্ণ হতে হবে। উভয় পরীক্ষায় প্রতিটিতে ন্যূনতম জিপিএ ৪.০০ এবং মোট ন্যূনতম জিপিএ ৮.৫০ থাকতে হবে। এ ক্ষেত্রে এ ও বি গ্রেডের জন্য যথাক্রমে ৫ ও ৪ জিপিএ গণনা করা হবে।

*শুধু মুক্তিযোদ্ধার সন্তান মুক্তিযোদ্ধা কোটায় এবং প্রকৃত উপজাতি/ক্ষুদ্র নৃ–গোষ্ঠী/পার্বত্য অঞ্চলের অ-উপজাতি প্রার্থীরা উপজাতি/ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী/পার্বত্য অঞ্চলের অ-উপজাতি কোটায় আবেদন করতে পারবেন। কোটায় আবেদনের ক্ষেত্রে কোটার নির্ধারিত স্থানে টিকচিহ্ন দিতে হবে এবং নিম্নবর্ণিত কাগজপত্র অনলাইনে আপলোড (সর্বোচ্চ ২ এমবির পিডিএফ ফরম্যাট) করতে হবে—

*মুক্তিযোদ্ধার সন্তান কোটার প্রার্থীদের পিতা-মাতার অনুকূলে সরকার কর্তৃক স্বীকৃত মুক্তিযোদ্ধার সনদপত্রের সফট কপি।

*উপজাতি/ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী/পার্বত্য অঞ্চলের অ-উপজাতি প্রার্থীদের নিজ নিজ জেলা প্রশাসক কর্তৃক প্রদত্ত জেলার স্থায়ী বাসিন্দা–সম্পর্কিত প্রত্যয়নপত্রের সফট কপি।

৯ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় হলো
বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, ময়মনসিংহ; বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, গাজীপুর; শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা; পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, পটুয়াখালী; চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি ও অ্যানিমেল সায়েন্সেস বিশ্ববিদ্যালয়, চট্টগ্রাম; সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, সিলেট; খুলনা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, খুলনা; হবিগঞ্জ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, হবিগঞ্জ ও কুড়িগ্রাম কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, কুড়িগ্রাম।

আবেদনের সময়সীমা ও আবেদন ফি
আবেদন গ্রহণের সময়সীমা ১৫ ফেব্রুয়ারি থেকে ১৬ মার্চ পর্যন্ত। আবেদন ফি অফেরতযোগ্য ১ হাজার ২০০ টাকা (ট্রানজেকশন চার্জ ব্যতীত) অনলাইন ফরমের নির্ধারিত স্থানে প্রদত্ত নির্দেশনা মোতাবেক মোবাইল ব্যাংকিং, অনলাইন ব্যাংকিং, ডেবিট কার্ড, ক্রেডিট কার্ডের যেকোনো একটির মাধ্যমে প্রদান করা যাবে।

ভর্তি পরীক্ষার কেন্দ্র ও কেন্দ্র নির্ধারণ
ভর্তি পরীক্ষার কেন্দ্র ৯টি। সেগুলো হলো (১) বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, ময়মনসিংহ; (২) বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, গাজীপুর; (৩) শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা; (৪) পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, পটুয়াখালী; (৫) চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি ও অ্যানিমেল সায়েন্সেস বিশ্ববিদ্যালয়, চট্টগ্রাম; (৬) সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, সিলেট; (৭) খুলনা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, খুলনা; (৮) হবিগঞ্জ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, হবিগঞ্জ এবং (৯) কুড়িগ্রাম কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, কুড়িগ্রাম। প্রযোজ্য ক্ষেত্রে এক বা একাধিক উপকেন্দ্র থাকবে।

পরীক্ষার কেন্দ্রগুলোর তালিকা অনুযায়ী আবেদনকারীকে ১ থেকে ৯ পর্যন্ত পরীক্ষাকেন্দ্রের পছন্দক্রম উল্লেখ করতে হবে। আসন শূন্য থাকা সাপেক্ষে আবেদনকারীর পছন্দক্রম এবং আবেদন ফি প্রদানের তারিখ ও সময়ের অগ্রাধিকার ভিত্তিতে পরীক্ষাকেন্দ্র নির্ধারণ করা হবে।

লিখিত নির্বাচনী পরীক্ষা
এমসিকিউ পদ্ধতিতে ১০০ নম্বরের ভর্তি পরীক্ষা আগামী ১২ এপ্রিল (শনিবার) বেলা ১১টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত ৯টি কেন্দ্রে ও প্রযোজ্য ক্ষেত্রে এক বা একাধিক উপকেন্দ্রে একযোগে অনুষ্ঠিত হবে। ২০২৪ সালের এইচএসসি/সমমানের পরীক্ষার সিলেবাস অনুযায়ী (ইংরেজি ১০, প্রাণিবিজ্ঞান ১৫, উদ্ভিদবিজ্ঞান ১৫, পদার্থবিজ্ঞান ২০, রসায়ন ২০ ও গণিত ২০ নম্বর) প্রশ্ন থাকবে। প্রতিটি সঠিক উত্তরের জন্য ১.০০ (এক) নম্বর প্রদান করা হবে এবং প্রতিটি ভুল উত্তরের জন্য ০.২৫ নম্বর কাটা যাবে।

ফলাফল কীভাবে
মোট ১৫০ নম্বরের ভিত্তিতে ফলাফল প্রস্তুত করা হবে। ভর্তি পরীক্ষার ১০০ নম্বরের সঙ্গে এসএসসি/সমমানের পরীক্ষায় প্রাপ্ত নম্বরের (চতুর্থ বিষয় ব্যতীত) ভিত্তিতে ২৫ এবং এইচএসসি/সমমানের পরীক্ষায় প্রাপ্ত নম্বরের (চতুর্থ বিষয় ব্যতীত) ভিত্তিতে ২৫ নম্বর যোগ করে ফলাফল প্রস্তুত করে মেধা ও অপেক্ষমাণ তালিকা তৈরি করা হবে।

ভর্তি পরীক্ষার যাবতীয় তথ্যাবলি
ভর্তি–সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্য ওয়েবসাইটে পাওয়া যাবে। ওয়েবসাইটের ভর্তি নির্দেশিকা অনুযায়ী অনলাইনে আবেদন ফরম পূরণ করতে হবে। ভর্তি পরীক্ষা ও ভর্তি কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করার লক্ষ্যে কেন্দ্রীয় ভর্তি কমিটির সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত বলে গণ্য হবে। আবেদন ও ভর্তি–সংক্রান্ত যেকোনো সমস্যার সম্মুখীন হলে ই-মেইলে ([email protected]) যোগাযোগ করতে হবে।

কৃষি গুচ্ছের বিস্তারিত তথ্য জানতে এখানে ক্লিক করুন

Similar Articles

Advertismentspot_img

Most Popular