নিউজ ডেস্ক:
কুয়েতে সুইপার থেকে ডাক্তার বনে যাওয়া এক বাংলাদেশিকে নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে হইচই পড়ে গেছে। আল আরাবিয়ার এক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, কাগজপত্র জালিয়াতির মাধ্যমে তিনি দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের উর্ধ্বতন কর্তাব্যক্তি বনে গেছেন। প্রতিবেদনে জানা যায়, ১৯৮২ সালে নিউজিল্যান্ডে চলে যাওয়া এক কুয়েতি ডাক্তারের জাল কাগজপত্র ব্যবহার করে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মই বেয়ে উপরে উঠতে থাকেন সেই ব্যক্তি। কুয়েতি সেই ডাক্তারের কাগজপত্রে নিজের ছবি বসিয়ে এ জালিয়াতি করে আসছিলেন সেই সুইপার।
কুয়েতি আইনজীবী হানি হুসেইন এর একটি টুইটে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে হইচই শুরু হয়। হানি হুসেইন জানান, সেই বাংলাদেশি সুইপার জাল কাগজপত্র ব্যবহার করে সরকারের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের কয়েকটি টেন্ডার পেয়ে যায়। তার কয়েকটি পদোন্নতিও হয়। এক কুয়েতি পার্লামেন্ট সদস্যের ভাই এ কাজে সহায়তা করে বলে জানা যায়। কিন্তু খবরটি প্রকাশ হওয়ার পর থেকে দুজনকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। কুয়েতি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের এক মুখপাত্র আহমদ আল শাত্তি জানান অনলাইনে ছড়িয়ে পড়া খবরটি খতিয়ে দেখছেন এবং এর বিরুদ্ধে যথোপযুক্ত পদক্ষেপ নেওয়া হবে মন্ত্রণালয় থেকে। অনলাইনে সরবরাহকৃত বিভিন্ন তথ্যে জানা যায় সেই বাংলাদেশি তার মুখে বেশ কয়েকটি প্লাস্টিক সার্জারি করে নিজের চেহারা নিউজিল্যান্ডে চলে যাওয়া সেই ডাক্তারের মতো করার চেষ্টা করেন। এই প্রতারক লোকটি কুয়েতের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র পদে কাজ করলেও ধারাছোঁয়ার বাইরে রয়ে গেছেন। ভুয়া এই ডাক্তার ধরা পরে সেখানে কাজ করা এক বাংলাদেশি শ্রমিকের মাধ্যমে। একদিন শুনতে পান সেই কথিত ডাক্তার টেলিফোনে অনর্গল বাংলায় কথা বলছেন। কুয়েতের স্বাস্থ্যমন্ত্রণালয় থেকে আয় করা অর্থ দিয়ে বাংলাদেশের সংসদ নির্বাচনে দাঁড়ানোর পরিকল্পনা করছিলেন সেই প্রতারক!